কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা



আজকে আপনাদের সাথে কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে তুলে ধরব। আমরা সকলেই কলা খেয়ে থাকি কিন্তু কলা আমাদের শরীরের জন্য কতটা উপকারী এবং কি কি উপকার হয় । 
কলা-খাওয়ার-উপকারিতা-ও-অপকারিতা
আমরা অনেকেই এই সম্পর্কে জানিনা। তাই আজকে কলা খাওয়ার উপকারিতার সাথে অপকারিতাও আমরা জানবো এবং কোন সময় কলা খেলে আপনার শরীরের জন্য সবথেকে ভাল হবে।এই সকল কিছু আমরা আজকে জানব ।

পেজ সূচিপত্রঃ কলা আমাদের শরীরের জন্য কতটা উপকারিতা এবং অপকারিতা

কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানবো।আমরা শুধু কলা খেয়েই যাই কিন্তু নিজেরাও জানিনা। কলায় থাকা বিভিন্ন প্রোটিনের মধ্যে রয়েছে ফাইবার যা আমাদের শরীরকে বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্ত রাখে শরীরে এক্সট্রা কিছু শক্তি যোগায় এবং ভাইরাস সংক্রমণ থেকে অনেক অংশে রক্ষা করে । 

গলার শক্তির অত্যন্ত ভালো উৎসব যার কারণে বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই প্রতিদিনই তাদের খাদ্য তালিকায় রাখে একটি কলা কলার মধ্যে রয়েছে অ্যামাইনো এসি যেটি মানসিক চাপ হিসেবে কাজ করে এর মধ্যে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়াম যা বিষণ্ণতা থেকেও মুক্তি দেয়। 

কলার মধ্যে রয়েছে উচ্চ পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং সামান্য পরিমাণ লবণ যা হৃদপিণ্ডকে ভালো রাখতে সাহায্য করে । প্রতিদিন একটি করে কলা খাওয়া আপনার স্মৃতিশক্তিকে বৃদ্ধি করতে প্রচুর সাহায্য করবে। 
 

পাকা কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আইরন যা রক্তে  হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়ায় । এবং যেসব রোগীর রক্তস্বল্পতা বা অ্যানিমিয়া রোগ রয়েছে তাদের জন্য এটি বেশ উপকারী একটি ফল ।

কলা দেহের হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। সন্তান সম্ভাবনা নারীর জন্য কলা খাওয়া খুবই উপকারী কেননা এটি সকালবেলায় দুর্বলতা কাটাতে কাজ করে এবং রক্তের শর্করার সামঞ্জস্যটাও বজায় রাখে। কলা পাকস্থলীর এসিডকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং পাকস্থলীর আলসার রোধে কাজ করে থাকে । এর মধ্যে ৬ ধরনের ভিটামিন রয়েছে যার রক্তের শর্করা গঠনের কাজ করে থাকে।কলার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যার কারণে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে এবং শরীর থাকবে তরতাজা।

কলা খেলে কি কি ক্ষতি হতে পারে 

কলা খেলে কি কি ক্ষতি হতে পারে , খুব তাড়াতাড়ি মুহূর্তের মধ্যে আপনার শরীরের শক্তি পেতে হলে অবশ্যই কলা খাওয়া অপরিহার্য। কিন্তু আপনি যদি কলা অতিরিক্ত খেয়ে ফেলেন তাহলে আপনার শরীরের ওজন বেড়ে যেতে পারে এবং আপনি মোটা হয়ে যেতে পারেন। যেহেতু মাঝারি মাপের একটি পাকা কলায় সর্বনিম্ন ১০৫ ক্যালোরি শক্তি থাকে তাই বেশি কলা খেলে মোটা হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি । 

কারোর যদি মাইগ্রেনের সমস্যা থাকে তাহলে কলা কে অবশ্যই দূরে রাখতে হবে সে ব্যক্তির জন্য অবশ্যই কলা খাওয়া অনেক ক্ষতিকর। প্রচুর পরিমাণে কলা খেলে হাইপার্ক্যালামিয়া রোগ হতে পারে। কলাতে প্রচুর পরিমাণ শর্করা থাকায় কলা বেশি খেলে দাঁতেরও ক্ষতি হয়।

পাকা কলায় প্রচুর পরিমাণ অ্যাসিড থাকার কারণে প্রচুর পরিমাণ ঘুম পায় তাই বেশি পাকা কলা যদি আপনি খেয়ে থাকেন তাহলে আপনি আলসে মস্তিষ্কের মানুষ হয়ে যেতে পারেন । এছাড়াও কলা অনেক সময় এলার্জির কারণ হয়ে থাকে । কারো কারো ক্ষেত্রে বেশি কলা খেলে ঠোঁট ফুলে যায় গলা ব্যথা করে এবং ঠান্ডা লাগার ভাবও হতে পারে।


যাদের ফুসফুসের সমস্যা আছে , বেশি কলা খেলে তাদের ফুসফুসের সমস্যা আরও অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়া সম্ভাবনা রয়েছে । কলায় থাকা ফাইবার এবং ফুটোজ দুটো একসঙ্গে পাকস্থলীতে গ্যাস সৃষ্টি করতে পারে । কলায় থাকা সুগারের পরিমাণ বেশি থাকার কারণে ডায়াবেটিস বৃদ্ধি হয়ে যায়। 

কাঁচা কলায় নাকি পাকা কলায় উপকার বেশি 

কালারের জন্য কাঁচা কলা পাকা কলা এই দুটোর কিন্তু উপকার আছে । অর্থাৎ কাঁচা কলা একটা বিশেষ কন্ডিশনে খায় আবার পাকা কলা ও কিন্তু খায় কালারটার জন্যই হল দুটো কলারি উপকার বলে শেষ করা আসলে যাবে না।

খুব বেশি লুজ মোশন আইডিএস এর প্রবলেম হজম শক্তি যাদের কম । তাদের সবসময় কিন্তু কাচা কলার দরকার এটা খাবেন কাঁচা কলার ভর্তা খাবেন বা কাঁচা কলা থেকে বানিয়ে খাবেন। যারা রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন তাদের জন্য কিন্তু কাঁচা কলা অনেক অনেক উপকারী থাকে এটা তো প্রচুর আইরন রিচ করা থাকে । 

কাঁচা কলাতেও যেমন হলো ইলেকট্রোলাইট পটাশিয়াম আয়রন সবকিছু থাকে । তেমনি পাকাগুলোতেও কিন্তু থাকে যারা প্রচন্ড কনস্টিপেশন থাকেন তারা খাবেন পাকা কলা। অর্থাৎ কনস্টিপেশনটাকে ভালো করার জন্য পাকা কলা কাজ করে থাকে । 

পাকা ফালাতেও প্রচন্ড পরিমাণে রয়েছে ভিটামিন সি এবং আয়রনের সমরহ । সো কাঁচা কলা এবং পাকা কলা এর দুটোই কিন্তু রোগ বিভিন্ন ধরনের রোগের সাথে আমরা এডজাস্ট করে খেতে পারেন। 

যারা সুস্থ ভালো আছেন তারাও কিন্তু তাদের খাদ্য তালিকায় কাঁচা কলা এবং পাকা কলা রাখতে পারেন যেহেতু প্রচুর পরিমাণে ইলেকট্রোলাইটে ভরপুর থাকে অনেক রোগের জন্য একটি উপকারী থাকে সেজন্য দুটোই আমাদের খাদ্য তালিকা থাকা দরকার । 

সকালে কলা খাওয়ার উপকারিতা 

সকালে কলা খাওয়ার উপকারিতা ডিম ও দুধের পাশাপাশি সকালের খাবারের তালিকায় কলা রাখতে দেখা যায় অনেকেরই  । এর অবশ্যই কারণও আছে অনেক কলায় রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ দ্রুত শক্তি যোগাতেও কলার জুরি নেই তাই সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সকালের খাবারের জায়গায় দেওয়া হয় কলা কে । 
সকালে-কলা-খাওয়ার-উপকারিতা
স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিলেও বিশেষজ্ঞরা নিষেধ করেছেন সকালের খাবারের তালিকায় কলা নামক ফলটি রাখতে । খালি পেটে কলা খেলে সত্যি কি সমস্যা হয়। কলাই ভিটামিন বি ৬ থেকে প্রচুর পরিমাণে যদিও এর সঙ্গে ভিটামিন সি এর কোন সম্পর্ক নেই একটা মাঝারি মাপের কলা আপনাকে শরীরে ১০ শতাংশ প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি দিতে পারে ।
কলা পটাশিয়াম সমৃদ্ধ আসিট ফাইবার ও গ্যাস অম্বল ও হজমের সমস্যা দূর করে । এতে তিনটি ন্যাচারাল সুগার থাকে সুক্রোজ ফুডক্রস ও গ্লুকোজ এতে কোলেস্টরেল ফ্রী এনার্জি তৈরি হয়। শরীরে কলায় থাকা সুগার শরীরে প্রায় পঁচিশ শতাংশ প্রয়োজন মেটায় কিন্তু যুক্ত হয়ে শরীরে প্রবেশ করলে অ্যাসিটি ন্যাচার গ্লুকোজের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। 

 দিনের শুরুতে কলা খেলে এর ফলে আপনার আরো ক্লান্ত ও ক্ষুধার্ত শুরু করে সে ক্ষেত্রে শরীরের ক্ষতি হয় অনেক বেশি ক্ষুধা এতটাই বাড়তে থাকে যে খাওয়ার পরিমাণ বেশি হয়ে শরীরের ওজন বাড়তে থাকে। তাই খালি পেটে নয় সকালের খাবারের অন্তত ঘন্টাখানেক পরে কলা খেতে পারেন।

রাত্রে কলা খাওয়ার অপকারিতা

রাতে কলা খাওয়ার অপকারিতা কলা মূলত একটি ঠান্ডা ফল তাই রাতে খেলে এটা সর্দি কফ বা ঠান্ডার সমস্যা কি ঘনিবোধ করতে পারে ।পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মতে কলা অবশ্যই স্বাস্থ্যকর ও শক্তিদায়ক ফল তবে রাতে এটা খাওয়া উচিত নয় কারণ রাতে কলা খেলে তার সর্দি কাফের সমস্যা তৈরির পাশাপাশি সাইনালসের প্রবলেম বৃদ্ধি করতে পারে ।

কলা সন্ধ্যায় জিম করার পর খাওয়া বেশ স্বাস্থ্যকর পাকস্থলীর এসিড নিয়ন্ত্রণে গবেষণামতে যারা রাস্তার মসলাদার খাবার ছেড়ে দিয়েছেন তাদের জন্য রাতে অন্তত একটি কলা খাওয়া উত্তম। কারণ এতে শরীরের উষ্ণতা কমে যাবে এবং এসিড নিয়ন্ত্রণের মাধ্যম পাকস্থলীর আলসার দূর করবে।


ঘুমের জন্য উপকারী প্রচুর পটাশিয়াম থাকায় কলা আমাদের পেশিগুলোকে আরাম দেয় । সন্ধ্যার পর কলা খেলে তার শরীরকে রিল্যাক্স করে ঘুমের জন্য প্রস্তুত করে তোলে ।  প্রতিটি কলাতে ৪৮৭ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম রয়েছে যা প্রাপ্তবয়স্ক শরীরে প্রয়োজনীয় আহারের প্রায় ১০% পূরণ করে থাকে।

কলাই মেদবৃতি করে না কারণ একটি কলায় মাত্র ১০৫ ক্যালোরি থাকে যদি আপনি 500 ক্যালোরির নিচে আপনার ডিনার সারতে চান সেক্ষেত্রে দুইটি কলা ও এক কাপ দুধেই আপনার জন্য যথেষ্ট । সুতরাং শেষ কথা হল যে রাতে কলা খাওয়া উচিত নয় এই বিষয়টি সত্য নয় । 

 রাতেও আপনি কলা খেতে পারেন তবে মাথায় রাখতে হবে যে আপনার সর্দি কাশি কিংবা সাইনাসের সমস্যা আছে কিনা যদি থাকে সেই ক্ষেত্রে রাতে আপনার জন্য কলা না খাওয়াই উত্তম হবে। 

কলাতে কি কি ধরনের পুষ্টিগুণ রয়েছে 

কলাতে কি কি ধরনের পুষ্টিগুণ রয়েছে । কলায় রয়েছে অনেক পুষ্টি উপাদান যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কলায় থাকা অনেক ধরনের পুষ্টিগুণ আজকে আপনাদের সামনে তুলে ধরব । কলায় কোন কোন ধরনের ভিটামিন এবং ক্যালসিয়াম রয়েছে সকল কিছু আজকে এই পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারবেন। 
  • মাঝারি একটি কলায় প্রায় 105 ক্যালরি রয়েছে 
  • ২৭ গ্রাম কার্বোহাইডেট
  • একগ্রাম প্রোটিন
  • ৩ গ্রাম ফাইবার
  • ১৪ গ্রাম চিনি
  • ভিটামিন সি
  • ভিটামিন বি৬
  • পটাশিয়াম
কলার এতগুলো গুণ এটা শুনে হয়তো আপনারা অনেকেই অবাক হবেন ।  কিন্তু আসলেই এই গুণগুলো যতটা মানবদেহে কাজ করে একটি ওষুধ তার থেকে অনেকাংশে কম কাজ করে থাকে। বেশি পাকা কলা কিংবা অতিরিক্ত পাকা কলা খেলে মনে একটি সতেজ ভাব নিয়ে আসে এবং মস্তিষ্ককে সব সময় ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।

কলা খাওয়ার ফলে মস্তিষ্ক ঠান্ডা রাখা এবং সতেজ রাখার কারণ হচ্ছে কলায় থাকে টিপটো ফ্যান এটি শরীরের মধ্যে প্রবেশ করার পরে আমাদের শরীরে শেরটোনিন তৈরি হয় । যা নার্ভাজ সিস্টেমকে ঠান্ডা রাখে এবং মনে একটি ফুর্তি যোগায়। এছাড়াও বেশি পাকা দাগ আলা কলা খেলে বুক জ্বালাপোড়া কমে এবং অ্যান্টাসিড ট্যাবলেটের কাজও কলায় করে । 

ছোট বাচ্চাদের কলা খাওয়ার উপকার

ছোট বাচ্চাদের কলা খাওয়ার উপকার রয়েছে অনেক । কলায় থাকা উচ্চ ফাইবার যা ছোট বাচ্চাদের অনেকক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখতে সাহায্য করে । ফলটিতে কার্বোহাইড্রেট প্রোটিন ফাইবার চিনি ভিটামিন ও পটাশিয়ামে ভরা । কলাতে থাকা ক্যালরী ঘনত্ব হয়ে বাচ্চাদের ওজন বাড়াতে সাহায্য করে । এবং প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকার কারণে বাচ্চাদের হাড় কে শক্তিশালী এবং শক্ত করতেও সাহায্য করে । 

বাচ্চাদের কলা খাওয়ানোর কারণে স্মৃতিশক্তি অনেক একটিভ হয় এবং স্মৃতি মস্তিষ্কের ক্ষতি রোধ করে । ছয় মাস বয়সী বাচ্চাকে কলা খেতে দেওয়ার আগে অবশ্যই কলাটি ছিলে, কলা কে ছোট ছোট টুকরো করে কাটা চামচ দিয়ে ব্লেন্ড করে খেতে দেওয়া উচিত। তাহলে কলাটি খাওয়ার জন্য বাচ্চাটির কোষ্ঠকাঠিন্য এরকম সমস্যা থাকলে অবশ্যই দূর হয়ে যাবে । 
ছোট-বাচ্চাদের-কলা-খাওয়ার-উপকার
এক বছর বয়সী বাচ্চাকে কলা ছিলে ছোট করে টুকরো করে দিন তাহলে সে কলাটি নিজে থেকে খেতে শিখবে ।  ছোট বাচ্চাকে অবশ্যই কাঁচা কলা কখনোই খাওয়াবেন না। কাঁচা কলা খাওয়ার ফলে বাচ্চাদের কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা এবং শরীর কষা হয়ে যেতে পারে । বাচ্চাদেরকে কাঁচা কলা খাওয়ানোর ফলে বাচ্চারা ভাত বা অন্যান্য সবজি খাওয়া ছেড়ে দিতে পারে শরীরের অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই ছোট বাচ্চাকে কাচা করা না খাওয়ানোটাই উচিত । 

প্রতিটি শিশুকেই দিনে একটি কলা খাওয়ানো যেতে পারে তবে এর বেশি কলা না খাওয়ানো উচিত ।কারণ কলা একটি ঠান্ডা ফল এই ঠান্ডা ফল কলা খাওয়ানোর ফলে বাচ্চাদের সর্দি কাশি গলা ব্যথা এই ধরনের অসুখ হতে পারে । গরমের টিনের তুলনায় কলা যদি বাচ্চাদেরকে খাওয়াতে চান সেই ক্ষেত্রে শীতের দিনে অবশ্যই চেষ্টা করবেন গরমের দিনের তুলনায় কম খাওয়ানোর ।  

কাঁচা কলা খেলে  কি কি উপকার হয়

কাঁচা কলা খেলে  কি কি উপকার হয় । আজকে আমরা জানবো কাঁচা কলার কিছু অসাধারণ উপকারিতা সম্পর্কে। আমরা সাধারণত প্রত্যেকটা বাড়িতেই কাঁচা কলা রান্না করে খাই কিন্তু হয়তো আমরা নিজেও জানিনা কাঁচা কলার উপকারিতা এবং গুনাগুন গুলো কেমন । বর্তমান সময়ে অধিকাংশ মানুষের ক্ষেত্রে দেখা যায় হজমের সমস্যা হয়েছে কাঁচা কলা আসলে আমাদের শুনলে হজমের সমস্যাটা দূর করে । 

কলা সিদ্ধ করে কিংবা কলা রান্না করে যে কোন ভাবে কাঁচা কলা খেতে পারেন এতে সুগারের পরিমাণ অনেক কমিয়ে আনে । কাঁচা কলাই রয়েছে অনেক এন্টি ডাইরেক্ট উপাদান তাই যারা হোগার কিংবা ডায়াবেটিসের সমস্যায় ভুগছেন তারা অবশ্যই কাঁচা কলা খেলে অনেক উপকার পাবেন । কাঁচা কলা খাওয়ার ফলে আপনার সুগার লেভেল কে নিয়ন্ত্রণে রাখবে তাই অবশ্যই মাত্র কয়েকদিন কাঁচা কলা খাওয়ার পরে সুগার রোগীরা উপকার পাবেন । 


কাঁচা কলা আপনার হার্ট কে অবশ্যই ভালো রাখতে সাহায্য করে ।  বর্তমান সময়ে হার্টের রোগী অনেক বেশি তাই হার্টের সমস্যা দূর করতে এমন কিছু সবজি খেতে হবে । যার কারণে আপনার হার্টের সমস্যা দূর হয়ে যায় মনে রাখবেন ওষুধ কিন্তু আমাদের যতটা তাৎক্ষণিকভাবে সেরে তোলে তার থেকে অনেক বেশি অংশে ক্ষতি করে দেয় তবে এটা আমরা কোনভাবেই বুঝতে পারি না । 

হার্টের রোগী যারা আছেন তাদের জন্য অবশ্যই অন্তত প্রতি সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন কাঁচা কলা রান্না করে কিংবা ভর্তা করে খাওয়া দরকার তাতে আপনার হার্টের সমস্যা অনেকাংশে কমে যেতে পারে । কাঁচা কলাতে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে ফাইবার যা মেদ যুক্ত মানুষদের জন্য অনেক উপকারী ওজন কমাতে খুবই তাড়াতাড়ি সাহায্য করে । 

কাঁচা কলা খেলে শরীরের বিপাকের হাড় ভালো রাখে এবং পেট সবসময় পরিষ্কার রাখে যার কারণে যে কোন খাবার খুব কম সময়ে মানব দেহে হজম করতে সাহায্য করে । হজম শক্তিকে বাড়িয়ে তোলার জন্য আপনি খেতে পারেন কাঁচা কলা । 

দুধ ও কলা একসাথে খেলে কি হতে পারে

দুধ ও কলা একসাথে খেলে কি হতে পারে পুষ্টিকর উপাদান বলে দুধ এবং কলা অনেকেই একসঙ্গে খেয়ে থাকেন কিন্তু দুধ এবং কলা একসঙ্গে খাওয়া উচিত নয় কারণ এই দুটি উপাদান একসাথে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর । দুধে আছে প্রচুর প্রোটিন ও ভিটামিন এ ছাড়াও আছে গুরুত্বপূর্ণ মিনারেল আর কলাই আছে ভিটামিন বীজ হয় ডায়েটারি ফাইবার পটাশিয়াম এবং বায়োটিন খুব দ্রুত এনার্জি ফিরিয়ে আনার জন্য কলার বিকল্প নেই । 

ব্যায়ামের আগের এবং পরের খাবার হিসেবে কলা খুবই উপকারী দুটি যেহেতু উপকারি খাবার সেহেতু একসাথে খেলে সমস্যা কোথায় । দুধ এবং কলা একসাথে খেলে যা হয় দুধ এবং কলা একসাথে খাওয়া আপাত দৃষ্টিতে পুষ্টিকর মনে হলেও আসলে তা নয় কারণ দুটির পুষ্টি উপাদানের বৈচিত্রতার কারণে আমাদের শরীরে প্রবেশের পরে তা উক্তি গ্রহণের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে ।

দুধ এবং কলা একসাথে খেলে হজমে ব্যাঘাত ঘটার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায় এছাড়া একটি গবেষণায় দেখা গেছে দুধ এবং কলা একসাথে খেলে সাইনাস কঞ্জেকশন এবং কফের সমস্যা বেড়ে যায় । 

কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিষক্রিয়ায় শরীরের এলার্জি এবং ড়েশ হতে পারে তারা হলে কিভাবে খেতে হবে । দুধ এবং কলা একসাথে খেতে খুবই সুস্বাদু হলেও স্বার্থের কথা চিন্তা করে তা আলাদা খেতে হবে দুধ খাওয়ার কমপক্ষে ২০ মিনিট পরে কলা খেতে হবে । অথবা দইয়ের সাথে কলা খেতে পারেন এতে হজমে ব্যাঘাত ঘটার সম্ভাবনা থাকে না । 

সবার উদ্দেশ্যে আমাদের শেষ কথা

সবার উদ্দেশ্যে শেষ কথা কলা বিস্তারিত অবশ্যই একটি ভালো ফল কলার উপকারিতা এবং অপকারিতা অনেক রয়েছে । আমরা সকলেই অনেক ধরনের ফল খেয়ে থাকি কিন্তু আমাদের সকলের জানা দরকার আমরা আসলে ফল খাচ্ছি কিন্তু ফলের মধ্যে কোন ভিটামিন আছে । এবং কোন ফল খেলে আমাদের শরীরে বেশি ক্ষতি কোন ফল খেলে আমাদের শরীরে বেশি উপকার এইসব বিষয় নিয়ে আমাদের অবশ্যই সব সময় অবগত থাকা দরকার । 

শুধু কলা দিয়ে নয় আমরা প্রতিনিয়ত যে খাবারই খাই না কেন প্রত্যেকটি খাবার খাওয়ার আগে আমাদের কিছু কিছু জিনিস খেয়াল রাখা দরকার। যেটা আমাদের শরীরের জন্য অবশ্যই ভালো । কে না চায় ভালো থাকতে আমরা সকলেই চাই সব সময় সুস্থ থাকতে এবং একটি ভালো মস্তিষ্কে ঠান্ডা মাথায় থাকতে তাই ভালো থাকতে হলে অবশ্যই  ভালো এবং এবং সব সময় ফরমালিন মুক্ত খাবার খেতে হবে তাহলেই সুস্থ থাকা সম্ভব । 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Active24 আইটিতে নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।;

comment url