ওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস কমানোর উপায়
ওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস কমানোর উপায় এবং নিয়ন্ত্রণে রাখার সঠিক উপায় সম্পর্কে
আমরা অনেকেই জানিনা। আমরা মনে করি শুধু ওষুধ খেলেই ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণে রাখা
সম্ভব কিন্তু ঔষধের বাইরেও আরো কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে। যা মেনে চলার মাধ্যমে
আমরা ডায়াবেটিক কে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারি।
ডায়াবেটিক কেন হয় এটা সম্পর্কেও আমরা অনেকেই জানিনা ডায়াবেটিসের ক্ষতিকর
দিক সম্পর্কে হয়তো আমরা কিছুই জানিনা। এবং ডায়াবেটিক থেকে অন্য কোন রোগের
আশঙ্কা আছে কিনা এই সকল বিষয় নিয়ে আজকে এই আর্টিকেলের মধ্যে আলোচনা করতে চলেছি।
পেজ সূচিপত্রঃ ওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস কমানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
- ওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস কমানোর উপায়
- ডায়াবেটিস কত হলে মানুষ মারা যায়
- ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা
- দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায়
- ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়
- ডায়াবেটিস রোগীর কাঁচা সজনে পাতার উপকারিতা
- ডায়াবেটিস হলে কি কি সবজি খাওয়া যাবে না
- মানুষের শরীরে ডায়াবেটিস কেন হয়
- ডায়াবেটিস থেকে বাঁচতে হলে কি করা দরকার
- ডায়াবেটিস সম্পর্কে আমাদের শেষ কথা
ওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস কমানোর উপায়
ওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস কমানোর উপায় সম্পর্কে সকল বিস্তারিত তুলে ধরার
চেষ্টা চেষ্টা করব। ঔষধ ছাড়াও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার অনেক
ধরনের উপায় আছে। যেসব উপায় সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা ডাক্তারের কাছে গেলে
হয়তো ডাক্তারেরা অনেক পরামর্শ দিতে চাই কিন্তু তাদের কথা শুনতেও টাকা দিতে
হয়। অনেক প্রশ্ন থাকে যে প্রশ্নগুলো ডাক্তারের কাছে করলে সঠিক উত্তর পাওয়া
যায় না।
ডায়াবেটিস নিয়ে আপনারা অনেকেই খুব চিন্তিত তাই আগে আমাদের জেনে নেওয়া দরকার
ডায়াবেটিস কেন হয় এবং শরীরের জন্য ডায়াবেটিস ক্ষতিকর কি ক্ষতি করে না এই সকল
বিষয় হয়তো আপনারা অনেকেই জানেন না আসুন জেনে নেওয়া যাক ডায়াবেটিস কি কারনে
হয়।
আরো পড়ুনঃ
ডায়াবেটিস মানুষের শরীরের ইনসুলিন হরমোনের অস্বাভাবিকতার কারণে
হয়। ইনসুলিন মানবদেহে রক্তের গ্লুকোজ পরিমাণকে নিয়ন্ত্রণে রাখে।
ডায়াবেটিকস এক রকমের নাই ডায়াবেটিক সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে।
মানবদেহে বিভিন্ন কারণে ডায়াবেটিস হয়ে থাকে অনেকের ক্ষেত্রে অনেক রকম
হতে পারে এবং একাধিক কারণে ডায়াবেটিক্স হতে পারে।
ডায়াবেটিসের দুটি ধরন নিচে উল্লেখ করা হলো।
- ইনসুলিন প্রতিরোধ
- অটোইমিউন ডিজিজ
ডায়াবেটিস কত হলে মানুষ মারা যায়
ডায়াবেটিকস কত হলে মানুষ মারা যায় এ সম্পর্কে হয়তো আমরা অনেকেই সঠিক তথ্য
জানিনা।ডাইবেটিসের কারণে মানুষের মৃত্যু হয় তখন যখন রক্তের শর্করার অতিরিক্ত
বৃদ্ধি কিংবা অতিরিক্ত কমে যায়। হাইপোগ্লাযইসেইমিয়া থেকে আস্তে আস্তে
চোখটিলতা শুরু হতে থাকে এবং এই জটিলতার কারণেই একটি ডায়াবেটিস এর পেশেন্টের
মৃত্যু ঘটে।
ডাইবেটিক এর পরিমাণ কেমন হলে মানুষ মারা যায় জেনে নেওয়া যাক। ডায়াবেটিসের
রোগীর রক্তের গ্লুকোজের পরিমাণ যখন 500 এম জি / ডি এল এর থেকে বেশি হয় তখন সেই
রোগী অজ্ঞান হয়ে যায় এবং কোমায় চলে যায় তাই ডায়াবেটিসের রোগীর ৫০০ এম জি /
ডি এল এর অধিক চলে গেলে সেই রোগীকে আর বাঁচানো সম্ভব হয় না। তাই সব
সময় ডায়াবেটিসের মাত্রা এবং ডায়াবেটিসের রোগীদের রক্তের গ্লুকোজের পরিমাণ ৭০
থেকে ১৩০ এম জি / ডি এল থাকা দরকার।
একটি ডায়াবেটিসের রোগীকে একটি সাত দিন পরপরই চেকআপ করা দরকার। কেননা
ডায়াবেটিসের মাত্রা অতিরিক্ত হয়ে যাওয়ার কারণে যেকোনো সময় সেন্সলেস হয়ে
যাওয়া থেকে কমায় যাওয়া পর্যন্ত এই ধরনের সমস্যাগুলো হতে পারে। প্রতি সাত দিন
পরে অন্তত একবার চেকআপ করা দরকার তাই সুস্থ থাকতে হলে প্রতিটি ডাইবেটিসে রোগীকে
নিয়মিত চেকআপ এবং আরো অন্যান্য বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে।
ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা
ডায়াবেটিস রোগীদের খাদ্য তালিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কারণ
খাদ্যের মধ্যে অনেক পুষ্টি ও গুনাগুন রয়েছে এ পুষ্টি ও গুনাগুনের মাধ্যমেও আপনার
শরীরে ডায়াবেটিসের মাত্রা অতিরিক্ত হয়ে যেতে পারে। তাই খাদ্য তালিকার দিকে
খেয়াল রাখা খুবই দরকার। সুস্বাস্থ্যকর খাদ্য একটি ডায়াবেটিসের
রোগীকে রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করাকে বজায় রাখতে পারে। তাই আসুন জেনে নিই কোন
ধরনের খাদ্য একটি ডায়াবেটিসের রোগীর জন্য সবথেকে ভালো হয়।
সময় | খাবার |
---|---|
সকালের নাস্তা | সিদ্ধ ডিম বা ভাজা ডিম |
সবুজ শাক-সবজির সালাদ | |
অটস বা গমের রুটি | |
দুপুরের খাবার | ডাল ও শাকসবজি |
মাছ বা মুরগির মাংস | |
বাদামি চালের ভাত বা গমের রুটি | |
বিকালের নাস্তা | আপেল নাশপাতি পেয়ারা কমলা |
আখরোট চিয়া সিড বা ফ্লাক্সিড | |
রাতের খাবার | শাকসবজি |
প্রোটিন সমৃদ্ধ খাদ্য | |
সবুজ সবজি | |
সবজির সুপ |
খাদ্য তালিকার মধ্যে যেই সকল খাবার দেখানো হলো একটি ডায়াবেটিসের রোগীর জন্য এই
সকল খাবার গুলো খাওয়া খুবই দরকার। এবং এই সকল খাবার খাওয়ার মাধ্যমে একটি
ডায়াবেটিসের রোগী সুস্থ অনুভব করতে পারে। সুস্থ থাকতেও ভালো থাকতে যে ধরনের
খাবার একটি ডায়াবেটিসের রোগীর দৈনন্দিন জীবনে দরকার আমরা সে সফল খাবারগুলোকে
তুলে ধরার চেষ্টা করেছি খাদ্য তালিকার মাধ্যমে। এই ধরনের খাবার খাওয়ার পরেও
যদি কোন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে আপনি অবশ্যই নিকটস্থ কোনো ডাক্তারের
পরামর্শ নিতে পারেন।
দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায়
দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায় জানলে আপনি অবাক হবেন। দ্রুত ডায়াবেটিস
নিয়ন্ত্রণ করার অনেকগুলো উপায় এবং মাধ্যম রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে ভালো
উপায় হল প্রতিদিন সর্বনিম্ন ৩০ মিনিট হাঁটাহাঁটি বা জগিং। ডায়াবেটিসের
রোগীর ক্ষেত্রে হাটাহাটি খুবই জরুরী কারণ একটি ডায়াবেটিসের রোগী যখন হাটাহাটি
করে তার শরীরের ইনসুলিনের পরিমাণ অনেক বেড়ে যাই। তাই রক্তের গ্লুকোজের সংখ্যা
কমে আসে আর রক্তের গ্লুকোজ সংখ্যা কমে যাওয়া মানে একটি রোগী অনেক সুস্থতা বোধ
করবে।
দ্রুত ডায়াবেটিস ডায়াবেটিস কমাতে হলে সুষম খাদ্যতালিকার গুরুত্ব অনেক বেশি
কারণ একটি ডায়াবেটিসের রোগী ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে পারে খাদ্য তালিকা
ফলো করে এবং রেগুলার হাটাহাটি ব্যায়াম এই ধরনের জিনিসগুলো করার মাধ্যমে খুব
দ্রুত ডায়াবেটিসকে কমিয়ে নিয়ে আসা সম্ভব মানসিক চাপ থেকেও সব সময় দূরে
থাকতে হবে তবে মানুষ চাইলেও টেনশন থেকে বাঁচতে পারে না।
আরো পড়ুনঃ
কিন্তু চেষ্টা করতে হবে টেনশন কম করার টেনশনের কারণেও কিন্তু ডাইবেটিকস হাই হয়ে
যেতে পারে। তাই টেনশন যতটা পারা যায় কম করতে হবে। এবং আমাদের পোস্টের মধ্যে
খাদ্য তালিকা উল্লেখ করা আছে যে তালিকা ফলো করে খুব কম সময়ে আপনি ডায়াবেটিস
নিয়ন্ত্রণা নিয়ে আসতে পারেন। তবে হ্যাঁ আপনাকে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায়
এমন কিছু খাবার রাখা দরকার যে খাবারগুলো আপনার রক্তের শর্করাকে কমিয়ে নিয়ে আসতে
সাহায্য করব। রক্তের শর্তাকে যত কমিয়ে নিয়ে আসা যায় ডায়াবেটিসের জন্য এটা
খুবই ভালো।
ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়
ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয় এই সম্পর্কে আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা।
ডায়াবেটিস হলে সাধারণত রক্তের শর্করাকে অনেক অংশে বাড়িয়ে দেয় আর রক্তের
শর্করা বেশি বাড়তি হয়ে গেলে একটি ডায়াবেটিসের রোগী বিভিন্ন সমস্যায় ভুক্তভোগী
হয়। তাই প্রতিটি ডায়াবেটিসের রোগীর এমন কিছু খাবার খাওয়া দরকার যে খাবার
গুলোর মাধ্যমে রক্তের শর্করাকে কমিয়ে নিয়ে আসতে সাহায্য করে। ওপরের আমাদের একটি
প্যারায় লিস্ট আকারে দেওয়া হয়েছে কি কি খাদ্য একটি ডায়াবেটিসের রোগীর জন্য
দরকার।
ঔষধ ছাড়াই ডায়াবেটিস কমানোর উপায় রয়েছে অনেক তবে আমরা সেগুলো বিশ্বাস করি না।
তাই ডাক্তারের কাছে যাই এবং একগুচ্ছে করে ওষুধ নিয়ে এসে আমরা খেতে থাকি। এতে কি
হয় শরীরে যেমন তাৎক্ষণিক উপকার পাওয়া যায় তেমনি দীর্ঘ মেয়াদী আপনি
ক্ষতিগ্রস্ত হন। ওষুধ মানুষের শরীরে কি পরিমান ক্ষতি করে এটা হয়তো আমরা অনেকেই
জানিন। একটি ওষুধ মানুষের শরীরে গেলে যেমন দ্রুত রোগ সারিয়ে নিয়ে আসতে পারে তার
থেকেও অনেক গুণ বেশি সেই মানবদেহে ক্ষতি সৃষ্টি করে।
ডায়াবেটিস হলে যে সমস্যাগুলো দেখা দেয়
- মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়
- ত্বকের উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়ে যায়
- দাঁত এবং মাড়ির সমস্যা
- পায়ের এবং হাঁটুর সমস্যা হয়
- স্নায়ুর ক্ষতি নিউরোপ্যাথি
- চোখের সমস্যা বা রেটটিনোপ্যাথি
- কিডনির ক্ষতি
- হৃদরোগ এবং স্টকের ঝুঁকি থাকে
একটি ডায়াবেটিসের রোগীর সাধারণত এই সকল রোগ হতে পারে। সঠিক সময় সঠিক চিকিৎসা
নেয়াটাই হচ্ছে বুদ্ধিমানের কাজ তাই সকলের চেষ্টা করবেন একটি রোগ হলে বসে না
থেকে খুবই শীঘ্রই চিকিৎসা নিতে। এবং একটি ভালো ডাক্তারের পরামর্শ আপনাকে সঠিক
সিদ্ধান্ত দিতে পারে।
ডায়াবেটিস রোগীর কাঁচা সজনে পাতার উপকারিতা
ডায়াবেটিস রোগীর কাঁচা সাজনি পাতার উপকারিতা রয়েছে অনেক। ওষুধ ছাড়াই
ডায়াবেটিস কমানোর উপায় জানতে হলে অবশ্যই আপনাকে কিছু জিনিসের বৈশিষ্ট্য
সম্পর্কে জানা দরকার। যেমন সজনে পাতা এর উপকারিতা একটি ডায়াবেটিসের রোগীর
ক্ষেত্রে অনেক। সজনে পাতায় এমন কিছু পুষ্টিগুণ রয়েছে যা আপনার রক্তের শর্করাকে
নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
কাঁচা সজনে পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা
একটি ডায়াবেটিকসের রোগীকে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে অনেক ভূমিকা পালন
করে। সজনে পাতায় রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, এবং কেরাটিন এর মত ভিটামিন
গুলো। যা ভেতর থেকে রক্তকে এবং মানুষের শরীরের মাংসপেশীকে ডায়াবেটিক জনিত কোন
সমস্যা থেকে সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে।
সাজনা পাতার রেগুলার খাওয়ার মাধ্যমে রক্তের শর্করার সমস্যা কে নিয়ন্ত্রণ করতে
পারে এবং হজম শক্তি বাড়ায় রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। সজনে পাতা আপনি যে
কোন সালাতে ব্যবহার করে খেতে পারেন আবার সজনে পাতা ভাজি করে রান্না করেও খাওয়া
যায়। আপনি চাইলে প্রতিদিন সকালে এক মুঠো সজনে পাতা যে কোন মাধ্যমে খেতে পারে।
সজনে পাতায় অনেক ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা আপনার ত্বকের
কারণেও খুব উপকারে আসবে।
ডায়াবেটিস হলে কি কি সবজি খাওয়া যাবে না
ডায়াবেটিস হলে কি কি সবজি খাওয়া যাবেনা এটা সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। তাই
আজকে এই পোস্ট পড়ার মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন ডায়াবেটিস হলে কি কি সবজি খাওয়া
নিষেধ। আমরা অনেক ধরনের সবজি খেয়ে থাকি এবং সবজিতে অনেক ভিটামিন
এন্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন এ ভিটামিন বি এ ধরনের উপকার রয়েছে। তবে সকল সবজিতেই
উপকার রয়েছে কিন্তু কিছু কিছু সবজি রয়েছে যা বিশেষ কোনো রোগের জন্য ক্ষতিকর।
আরো পড়ুনঃ
ওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস কমানোর উপায় হল শাকসবজি এবং নিয়মিত শরীরচর্চা। শাকসবজি
খাওয়ার মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আসে তবে কিছু কিছু শাক সবজি নিয়ন্ত্রণে
না এসে। বরং ক্ষতি করে কারণ সকল সবজিতেই রক্তের শর্করা কমিয়ে নিয়ে আসে না। কিছু
কিছু সবজি আছে যে সবজিগুলো খাওয়ার মাধ্যমে একটি ডাইবেটিসের রোগীর রক্তের শর্ট
করার পরিমাণ অনেক বেশি বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই সেই সবজিকে এড়িয়ে চলাই
ভালো।
যে সকল সবজি উচ্চ কার্বোহাইড্রেট যুক্ত সেই সকল সবজি ডায়াবেটিস এর জন্য সমস্যা
এবং ঝুঁকির কারণ হতে পারে। কারণ উচ্চ কার্বোহাইড্রেট যুক্ত সবজিতে রয়েছে প্রচুর
পরিমাণে শর্করা এবং আমরা সকলেই জানি রক্তে শর্করার পরিমাণ বেশি হতে থাকলে একটি
ডায়াবেটিসের রোগীর ক্ষেত্রে এটি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ।
মানুষের শরীরে ডায়াবেটিস কেন হয়
মানুষের শরীরে ডায়াবেটিক কেন হয় এই সম্পর্কে হয়তো আমরা অনেকেই জানিনা।
আসলে আমাদের শরীল বিভিন্ন কোষ এবং রক্ত দ্বারা তৈরি তো এই কোষ এবং রক্তের মাঝে
অনেক ধরনের সমস্যা এবং অনেক ধরনের বাধা সৃষ্টি হতে পারে এইসবের মাধ্যমেই সাধারণত
শরীরে রোগের সৃষ্টি হয়। মানুষের শরীরে ডাইবেটিস হয় তার কারণ হচ্ছে
মানবদেহে রক্তের সাথে রয়েছে শর্করা আর এই শর্করার পরিমাণ যখন বেশি বৃদ্ধি পায়
তখনই মানুষের শরীরে ডায়াবেটিক দেখা দেয়।
ডায়াবেটিসের সাধারণত দুইটা ধরুন রয়েছে ইনসুলিন প্রতিরোধ এবং
অটোইমিউন ডিজিজ ডায়াবেটিস হওয়ার কারণে শরীরে ইনসুলিন প্রতিরোধ
ক্ষমতা বেড়ে যায় তাই ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির কারণে মানবদেহে সুগারের
পরিমাণ বেড়ে যায় এবং শর্করার পরিমাণও বেড়ে যায় এটা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য
বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহার করা হয়।
অটোইমিউন ডিজিজ এই ধরনের ডায়াবেটিসের কারণে শরীরের রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতার জন্য যেই ফর্মুলা ব্যবহার হয়। সেই ফর্মুলাকে আক্রমণ করে এবং আক্রমণ করার
পরে বিভিন্ন কোষ কে ধ্বংস করে ফেলে। তাই এইসব কোষগুলো ধ্বংস হয়ে যাওয়ার ফলে
ইনসুলিনের অভাব দেখা দেয় তাই রক্তের শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি হয়ে যায়।
ডায়াবেটিস থেকে বাঁচতে হলে কি করা দরকার
ডায়াবেটিস থেকে বাঁচতে হলে কি করা দরকার আসুন জেনে নেওয়া
যাক। ওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস কমানোর উপায় সম্পর্কে উপরে অনেক তথ্য
দিয়েছি আশা করি উপরের তথ্যগুলোর মাধ্যমে আপনাকে বোঝাতে
পেরেছি। ডায়াবেটিসের হাত থেকে বাঁচতে এবং ঝুঁকি কমাতে হলে অবশ্যই আপনাকে
স্বাস্থ্যকর খাদ্য ভ্যাস তৈরি করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ
স্বাস্থ্যকর খাদ্য এবং প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে এই সকল জিনিস আপনাকে
ডায়াবেটিসের হাত থেকে অনেক অংশে বাচিয়ে দিবে। নিয়মিত শরীরে শারীরিক ব্যায়াম
ওজন নিয়ন্ত্রণ করা পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম নিশ্চিতকরণ চেস্ট কমানোর চেষ্টা করতে হবে
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন এই সকল বিষয়গুলো মেনে চলার মাধ্যমে আপনি
ডায়াবেটিসের হাত থেকে বাঁচতে পারেন।
ধূমপান ও মধ্য পান পরিহার করা পর্যাপ্ত পানি পান করা এই সকল বিষয়গুলো আপনাকে
মেনে চলতে হবে। ধূমপান আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর সেটা যে কোন রোগ বা
ডাইবেটিসের মত সমস্যার হাত থেকে আমাদের বাঁচাতে পারে। ধূমপান করার মাধ্যমে
শ্বাসকষ্ট যদি থাকে সেই শ্বাসকষ্ট থেকে ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাই
ধূমপান থেকে সবসময় বিরত থাকুন।
ডায়াবেটিস সম্পর্কে আমাদের শেষ কথা
ডায়াবেটিস সম্পর্কে আমাদের শেষ কথা ওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস কমানোর উপায়
সম্পর্কে বিভিন্ন সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো আপনাদেরকে তথ্য
দিয়েছি। আমাদের দেওয়া সকল তথ্য একদম সঠিক আপনারা চাইলে এই সকল বিষয়গুলো
মেনে চলার মাধ্যমে ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পারেন। এরপরেও যদি
ডায়াবেটিস কমে না আসে সেই ক্ষেত্রে বসে না থেকে নিকটস্থ কোনো ভালো ডাক্তারের
পরামর্শ নিন।
স্বাস্থ্য বিষয়ে সবসময় সচেতন থাকতে হলে ধূমপান থেকে দূরে থাকুন। সুস্বাস্থ্য
বজায় রাখতে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করার তুলনা নেই। শাক-সবজি খাওয়ার মাধ্যমে
মানুষের শরীরে বিভিন্ন ভিটামিন ইনপুট হয় তাই চেষ্টা করবেন বেশি বেশি শাক সবজি
খাবার। স্বাস্থ্য বিষয়ক সকল তথ্য পেতে আমাদের এই ওয়েবসাইটকে আপনি ফাস্টে
রাখতে পারে। আমাদের আর্টিকেলগুলো যদি পড়ে ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই একটি কমেন্ট
করতে ভুলবেন না। মনে রাখবেন আপনার একটি কমেন্ট আমাদের আর্টিকেল লিখতে আরো উৎসাহিত
করে। সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি ধন্যবাদ।
Active24 আইটিতে নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।;
comment url