১৫ দিনে ১০ কেজি ওজন কমানোর সহজ উপায়
১৫ দিনে ১০ কেজি ওজন কমানোর সহজ উপায় জানলে আপনি অনেক অবাক হবেন। এবং মনে
হবে এত কম সময়ে ওজন কমিয়ে নিয়ে আসতে গেলে অসুস্থতা বোধ করব হ্যাঁ সঠিক
নিয়মে যদি ওজন কমিয়ে নিয়ে আসতে না পারেন তাহলে আপনি অসুস্থ হয়ে যেতে
পারে।
আজকে আমরা আপনাদের মাঝে এমন কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি যে এসব বিষয়
মেনে চললে আপনি সুস্থ থাকবেন এবং সুস্থ থাকা অবস্থায় আপনি আপনার শরীরের বাড়তি
ওজনকে খুব কম সময়ের মধ্যে কমিয়ে নিয়ে আসতে পারেন।
পেজ সূচিপত্রঃ ১৫ দিনের ১০ কেজি ওজন কমানোর সহজ উপায় সম্পর্কে জানুন
- ১৫ দিনে ১০ কেজি ওজন কমানোর সহজ উপায়
- শাকসবজি ও ফলমূল খেয়ে ওজন কমানোর নিয়ম
- কার্ডিও এক্সারসাইজের মাধ্যমে অধিক ওজন নিয়ন্ত্রণ করা
- ১৫ দিনে ১০ কেজি ওজন কমাতে হলে খাবারের সঠিক নিয়ম
- গরম পানির সাথে লেবু ও মধু মিক্স করে খাওয়ার সঠিক নিয়ম
- অ্যাপেল সিডার ভিনেগার খেয়ে ওজন কমানোর উপায়
- গ্রিন টি খেয়ে ওজন কমানোর সঠিক নিয়ম
- ওজন কমাতে ব্যায়াম করার সঠিক পদ্ধতি
- ওজন কমাতে সঠিক খাদ্য তালিকা তৈরি
- ওজন কমানো নিয়ে আমাদের শেষ কথা
১৫ দিনে ১০ কেজি ওজন কমানোর সহজ উপায়
১৫ দিনে ১০ কেজি ওজন কমানোর সহজ উপায় সম্পর্কে জানতে প্রথমেই আপনাকে
খাদ্য নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এবং নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। তবে একটি কথা মনে
রাখবেন কোন কিছুই খুব তাড়াতাড়ি হয়ে গেলে সেটা স্থায়ীভাবে কাজ করে না। তাই
কোন ধরনের আজেবাজে মেডিসিন বা ওষুধ নিয়ে আপনি খুব তাড়াতাড়ি ওজন কমাতে গেলে
আপনি অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন।
সুস্বাস্থ্যভাবে খাদ্য তালিকা পরিবর্তন করার মাধ্যমে আপনি শরীরের ওজন খুব কম
সময়ে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন এবং এই মাধ্যমে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করলে কোন
সাইড ইফেক্ট হবে না। বা আপনি অসুস্থ হবেন না আপনি সুস্থ থাকা অবস্থায় আপনার
শরীরের ওজন অনেক কমিয়ে আনতে পারবেন তাই সুস্থ অবস্থায় শারীরিক ওজন কমাতে
অবশ্যই খাদ্য তালিকা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ
দ্রুত ওজন না কমিয়ে আপনি যদি খাদ্য তালিকার ওপরে নজর দেন এবং ঠিকমতো খাবার
ঠিকমতো ব্যায়াম এর মাধ্যমে যদি বডিকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পারেন। তাহলে
খুবই ভালো হয় সুস্বাস্থ্যকর খাদ্য যেমন খাদ্য তালিকা থেকে আমি শর্করা প্রোটিন
এইসব জাতীয় খাবার কম খেতে হবে। অল্প খেয়ে ক্ষুধা মেটানো যাবে এরকম কিছু খেয়ে
থাকতে হবে একসঙ্গে অধিক পরিমাণ খাবার খাওয়া যাবে না।
শাকসবজি ও ফলমূল খেয়ে ওজন কমানোর নিয়ম
শাকসবজি ও ফলমূল খেয়ে ওজন কমানোর নিয়ম সম্পর্কে জানুন শাকসবজি ও ফলমূল খেয়ে
ওজন নিয়ন্ত্রণে আনা কিংবা ওজন কমিয়ে নিয়ে আসা এটি অনেক উপকারী একটি মাধ্যম।
শাকসবজি খাওয়ার মাধ্যমে আপনার শরীরে অতিরিক্ত ফ্যাট বা চর্বি জমা হবে না। শরীর
স্লিম এবং সুন্দর থাকবে এবং ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে চোখের দৃষ্টিশক্তিকে
আরও বাড়িয়ে তুলবে শাক সবজি মানব দেহের জন্য অনেক উপকারী
একটি খাবার।
খুব কম সময়ে ওজনকে কমিয়ে নিয়ে আসতে হলে অবশ্যই আপনাকে ভেজিটেবল জাতীয় জিনিস
খেতে হবে মানুষ প্রধানত তিন ধাপে খেয়ে থাকে সকাল দুপুর এবং রাত্রে তো ওজন
কমাতে আপনি সকাল দুপুর রাতে তিন বেলা খাবারের সাথে অল্প অল্প করে শাকসবজি খেতে
পারেন। শাকসবজি এবং ফলমূল খেলে পেট ভরে না কিন্তু অল্প খাবারে অনেকক্ষণ খেলাম
মিটানো যায়।
শাকসবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এবং
অল্প খাবারে পেট ভরে থাকে তাই অধিক খাবার প্রয়োজন পড়ে না। এবং অধিক খাবার
প্রয়োজন না পড়াই ওজন বৃদ্ধি করে না ওজন কমে আসে। পালং, শাক, কাঁচা
ক্যাপসিকাম, টমেটো, বাঁধাকপি, ব্রকলি, ইত্যাদি এসব খাবারে ফাইবার খনিজ পদার্থ
বেশি থাকে। তাই এগুলো খাবারে ক্যালরির পরিমাণও কম থাকে এবং এইসব খাবারের যুক্ত
করলে অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম প্রবেশ করতে পারবে না। ফলে ওজন কমাতে সাহায্য
করবে।
কার্ডিও এক্সারসাইজের মাধ্যমে অধিক ওজন নিয়ন্ত্রণ করা
কার্ডিও এক্সারসাইজ এর মাধ্যমে অধিক ওজন নিয়ন্ত্রণ করা যাই কিন্তু এই
সম্পর্কে আপনারা অনেকেই জানেন না। কার্ডিও এক্সারসাইজ ওজন কমাতে কার্ডিও
এক্সারসাইজ অতি কার্যকারী একটি পদ্ধতি। এই ধরনের ব্যায়ামের কারণে শরীর থেকে
অনেক পরিমাণ ক্যালরি বের হয়ে যায়। যার কারণে মেটাবলিজম বুস্ট
করতে সাহায্য করে। আপনাদের সুবিধার্থে আমরা কয়েকটি কার্ডিও-
এক্সারসাইজ তুলে ধরবো এইসব রেগুলারলি করতে থাকলে খুব কম সময়ে আপনি আপনার
ওজন কমাতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ
প্রতিদিন জগিং বা দৌড়ানো ওজন কমানোর ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
দৌড়ানোর ফলে শরীর থেকে অনেক ক্যালরি বের হয়ে যায় এবং সেই ক্যালোরিগুলো বের
হওয়ার মাধ্যমে। আপনার শরীরের অতিরিক্ত ফ্যাট বা জমে থাকা চর্বি থেকে অল্প অল্প
করে ঘাম ঝরতে ঝরতে একসময় শরীরের ওজন অনেক অংশে কমে যায়। ১৫ দিনে ১০ কেজি ওজন
কমানো সহজ উপায় আপনারা জানতে চেয়েছেন তবে খুব কম সময়ে ওজন কমাতে গেলে আপনি
দুর্বল হয়ে পড়বেন তাই ধীরে ধীরে ওজন কমিয়ে নিয়ে আসাটাই সবথেকে ভালো
হবে।
এছাড়াও দ্রুত ওজন কমিয়ে নিয়ে আসতে সাঁতার সাইকেলিং ও দৌড়ি লাফানো এই ধরনের
সকল জিনিস করতে পারেন। মূল কথা আপনি যে ধরনের জিনিস করলে আপনার শরীর থেকে ঘাম
ঝরতে থাকবে আপনি এই সকল জিনিস বেশি বেশি করতে থাকলে খুব কম সময়ে আপনার শরীরের
ওজন কমে আসবে।
১৫ দিনে ১০ কেজি ওজন কমাতে হলে খাবারের সঠিক নিয়ম
১৫ দিনে ১০ কেজি ওজন কমাতে হলে খাবারের সঠিক নিয়ম আপনাকে জানতে হবে। সঠিক নিয়মে
খাবার না খাওয়া হলে আপনার ওজন কমা বাদ দিয়ে আরও বেশি বৃদ্ধি পেতে থাকবে। তাই
ওজন কমাতে হলে খাবারের সঠিক নিয়ম জানা অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আমরা
নিয়ম অনুযায়ী খাবার না খাওয়ার ফলে আমাদের ওজন অতিরিক্ত বেড়ে যায়। এবং
একসঙ্গে অনেকগুলো খাবার খাওয়ার ফলে ওজন বৃদ্ধি হতে পারে। তাই চেষ্টা করবেন অল্প
অল্প করে খাবার খাওয়া এটি স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকার।
ওজন কমাতে গেলে অবশ্যই আপনাকে একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে আপনার ওজনটা কিন্তু
খুব কম সময়ে বা এক দুই দিনের মধ্যে বেড়ে যায়নি। যেহেতু ওজন কম সময় বা এক
দুইদিনে বেড়ে যায়নি তাই ওজন কমাতে হলেও কিছু সময় লাগবে। আপনি হয়তো চিন্তা
করছেন খুব কম সময়ে ওজন কমিয়ে নিয়ে আসব। হ্যাঁ হয়তো কোন ঔষধের মাধ্যমে আপনি
খুব কম সময়ে ওজন কমিয়ে নিয়ে আসতে পারেন। কিন্তু এতে করে আপনার অনেক ধরনের
সমস্যা হবে যেমন আপনি শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়বেন বা অসুস্থ হয়ে যাবে। তাই
কম সময়ে ওজন কমিয়ে নিয়ে আসার চিন্তাভাবনা না করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিন। এবং সঠিক
ডাক্তার দেখিয়ে চিকিৎসা করতে থাকুন ইনশাল্লাহ একটি ভালো ফলাফল পাবেন।
ওজন কমাতে সাহায্য কর খাদ্য সমূহঃ
- গ্রিন টি
- চিনি ছাড়া চা বা কফি
- যেকোনো ধরনের স্যুপ
- দই
- মাছ মাছ
- বীজ
- ডাল
- ফল
- সবুজ শাকসবজি
এই ধরনের খাবার গুলো রেগুলার খেতে থাকলে আস্তে আস্তে আপনার ওজন কমতে থাকবে দ্রুত
ওজন কমাতে হলে দৌড়াদৌড়ি এবং শরীরের ঘাম ঝরানোর বিকল্প আর কিছু নেই।
গরম পানির সাথে লেবু ও মধু মিক্স করে খাওয়ার সঠিক নিয়ম
গরম পানির সাথে লেবু ও মধু মিক্স করে খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেওয়া
যাক। এর সাথে আমরা জানবো ১৫ দিনে ১০ কেজি ওজন কমানোর সহজ উপায়
সমূহ। অনেকেই হয়তো জানেন লেবু গরম পানি ও মধু একসঙ্গে মিক্স করে খেলে কি
হয়। আবার অনেকেও সঠিক ভাবে জানেন না এই মিক্স টি খেলে কি উপকার হয়। তাই আজকে
সঠিকভাবে এই মিক্স এর উপকার জানতে পারবেন।
আমরা সবাই হয়তো জানি সকালে ঘুম থেকে উঠে গরম পানির সাথে লেবু ও মধু মিক্স করে
খেলে অনেক উপকার হয়। কিন্তু কি ধরনের উপকার হয় এইটা সম্পর্কে জানিনা। আসলে
সকালে কুসুম গরম পানির সাথে লেবু ও মধু মিক্স করে খাওয়াকে বলা হয়
ডিটক্সিন ওয়াটার। এই ডিটক্সিন ওয়াটার খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের শরীর থেকে টক্সিন
গুলোকে রিমুভ করে দেয়। এছাড়াও আমাদের শরীর থেকে বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন বা রোগ
জীবাণু দূর করতে খুবই কার্যকরী হলো গরম পানির সাথে লেবু মধু।
আরো পড়ুনঃ
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কুসুম গরম পানির সাথে লেবু ও মধু মিক্স করে খেলে আমাদের
শরীর থেকে টক্সিন গুলো রিমুভ হয়ে যায়। আর টক্সিন গুলো রিমুভ হওয়ার কারণে
আমাদের শরীরের ওজনও কিন্তু লস করে। গরম পানির সাথে লেবু ও মধু খাওয়ার শুধু এই
একটাই উপকার নয। প্রতিদিন সকালে গরম পানি লেবু মধু একসঙ্গে খেলে আপনার ত্বকের
উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় এবং ত্বক পরিষ্কার রাখে এ আরো সুন্দর করে
তোলে। কিন্তু আপনাকে মনে রাখতে হবে শুধু গরম পানি লেবু আর মধু আপনাকে ওজন
কমাতে সাহায্য করবে না। এর সাথে আরও সাহায্যকারী যেসব ব্যায়াম খাদ্য তালিকা আছে
সেসব মেনটেন করে চলার মাধ্যমেই আপনার ওজন কমতে থাকবে।
অ্যাপেল সিডার ভিনেগার খেয়ে ওজন কমানোর উপায়
অ্যাপেল সিডার ভিনেগার খেয়ে ওজন কমানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এর সাথে
১৫ দিনে ১০ কেজি ওজন কমানোর সহজ উপায় সম্পর্কেও জানুন। অ্যাপেল সিডার
ভিনেগার সাধারণত আমরা যে খাবার খায় সেই খাবারটা যখন স্টমাকে যাই তখন একটু
আমাকে থাকা গ্যাস্ট্রিক এমপিং টাইমটাকে ডিলে করে তারমানে আমরা যে খাবারটা খাই সেই
খাবারটা ইস্টোমাক থেকে অন্তরে যাওয়ার সময়টাকে অনেক ডিলে করে দেয়।
তোমাকে মধ্যে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার অনেকক্ষণ থাকে সেই কারণে ব্রেনের কাছে খবর
যায় যে আমাদের পেট ভরে গেছে। তাই আমরা তখন খাবার খাওয়া বন্ধ করে দেই কিন্তু
আসলে আমাদের পেট ভরেনা। অ্যাপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার মাধ্যমে পেটের মধ্যে
বা স্ট্রমাকে জমে থাকার কারণে খাবারটা অনেকক্ষণ জমা থাকে। এজন্য মনে হয় যে
আমাদের পেটটা ভরে আছে কিন্তু দেখা যায় আমাদের পেটটা ভরে নেই। আপেল সিডার ভিনেগার
খাওয়ার এটাই উপকার এই কারণে আপেল সিডার ভিনেগার খেলে খুব কম সময়ে একটি মানুষ
তার ওজন কমিয়ে আনতে পারে।
অ্যাপেল সিডার ভিনেগার শরীরের চামড়ার তলে থাকা চর্বি কমাতে সাহায্য করে। এর
পাশাপাশি শারীরিক ব্যায়াম এবং পরিশ্রম করলে ১৫ দিনের ১০ কেজি ওজন কমানোর সহজ
উপায় আপনি নিজেই প্র্যাকটিক্যালি দেখতে পাবেন। অ্যাপেল সিডার ভিনেগার
পেটের মধ্যে থাকা পাকস্থলীর গ্যাসকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এবং বদ হজম হলে অ্যাপেল
সিডার ভিনেগার খুবই উপকার করে তাই অ্যাপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার
উপকারিতা অনেক।
গ্রিন টি খেয়ে ওজন কমানোর সঠিক নিয়ম
গ্রিন টি খেয়ে ওজন কমানোর সঠিক নিয়ম সম্পর্কে হয়তো আমরা অনেকেই জানিনা। আসলে
সবকিছু খাওয়ার একটি সঠিক নিয়ম আছে সঠিক নিয়ম মত কোন জিনিস না খেলে সেটার আসল
ফলাফল কখনোই পাওয়া সম্ভব না। তাই আসুন জেনে নিই গ্রিন টি খেয়ে ওজন কমানোর সঠিক
নিয়ম এবং ১৫ দিনের ১০ কেজি ওজন কমানোর সহজ উপায়।
ওজন কমাতে গ্রীন টি অনেক উপকারী একটি উপাদান গ্রিন তে উচ্চ পরিমাণ
এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। যাকে বলা হয় ক্যাটেচিন এতে থাকা ক্যাফিন উপাদান
চর্বি গলাতেও মাংসপেশির স্বাস্থ্য উন্নত রাখতে সাহায্য করে। যেভাবে খাবেন এক কাপ
পানি ফুটিয়ে তাতে গ্রীন টির পাতা দিয়ে এর সঙ্গে সামান্য দারুচিনি গুড়া মেশালে
দ্রুত ওজন কমবে।
স্বাস্থ্য সচেতন বাঙালির এখন অন্যতম মাধ্যম হয়ে গেছে গ্রিন টি। গ্রিন টি খেয়ে
মোটা শরীর খুব কম সময়ে কমিয়ে নিয়ে আসা সম্ভব হচ্ছে। গ্রিন টি খাওয়ার
সঠিক সময় সকালে খাবার আগে কিংবা পরে বিকালে নাস্তার সাথে এবং রাত্রে অফিস থেকে
এসে ফ্রি সময় বসে খাওয়া যেতে পারে। এই সময়গুলোতে গ্রিন টি খেলে সবথেকে ভালো
কার্যকারী এবং উপকার হয়।
ওজন কমাতে ব্যায়াম করার সঠিক পদ্ধতি
ওজন কমাতে ব্যায়াম করার সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা আমরা অনেকেই
ভেবে থাকি সকালে কিছু কিছু ব্যায়াম করার মাধ্যমে ভালো থাকতে পারি। হ্যাঁ এই কথা
অবশ্যই সত্যি কিন্তু আদর্শ ব্যায়াম কাকে বলা হয় এইটা সম্পর্কে আমরা অনেকেই
জানিনা আদর্শ ভাবে ব্যায়াম করার পদ্ধতি সম্পর্কে আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা
করব।
১৫ দিনে ১০ কেজি ওজন কমানোর সহজ উপায় জানতে হলে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে
আদর্শ ব্যায়াম কাকে বলে কারণ ওজন কমাতে ব্যায়াম অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি
বিষয়। ব্যায়াম করার আদর্শ সময় হল সকালে ঘুম থেকে উঠে এবং দুপুর ১টা থেকে
বিকাল ৪টা পর্যন্ত এইটা হচ্ছে আদর্শ সময়। এই সময়ের মধ্যে আপনি
ব্যায়াম করতে পারেন। তবে আপনার খেয়াল রাখতে হবে এই দুপুরের সময়
ব্যায়াম করার মাধ্যমে আপনার শরীরের কোন সমস্যা হচ্ছে কি। যদি কোন সমস্যা হয়ে
থাকে তাহলে এটা না করাই ভালো হব।
আরো পড়ুনঃ
শরীরে অতিরিক্ত ওজন থাকাই সব ধরনের ব্যায়াম করা হয়তো একটি মানুষের পক্ষে সম্ভব
না তাই সকাল সকাল একটু জগিং করাটাই বেটার। কার্ডিও এক্সারসাইজের মতে প্রতিদিন
একটা মানুষকে শরীরের ওজন কমাতে হলে ডোর এবং সাইকেলিং জগিং অতি
গুরুত্বপূর্ণ। আপনি চাইলে প্রতিদিন ৩০ সেকেন্ড বারপিস এবং ১০ সেকেন্ড রেস্ট
করবেন আবার ৩০ সেকেন্ড স্কোয়াড করে ১০ সেকেন্ড বিশ্রাম নিবেন ৩০ সেকেন্ড
মাউন্টেন ক্লাইমবার আবার 10 সেকেন্ড রেস্ট এইভাবে ১০ থেকে ১৫ দিন করার
মাধ্যমে আপনার শরীরের ওজন অনেকটাই কমে আসবে।
ওজন কমাতে সঠিক খাদ্য তালিকা তৈরি
ওজন কমাতে সঠিক খাদ্য তালিকা তৈরি করতে আমরা অনেকেই জানিনা। তাই আপনাদের মাঝে আজ
ওজন কমাতে সঠিক খাদ্য তালিকা তৈরি করে দেখাবো। যেসব খাদ্য তালিকার মধ্যে রাখলে
আপনি খুব কম সময়ে আপনার ওজনকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবেন এবং কমিয়ে নিয়ে আসতে
পারবেন এই সকল খাদ্য আমরা খাদ্য তালিকার মধ্যে রাখবো।
ওজন কমাতে একটি সুষম খাদ্য তালিকা তৈরি করা হলো। এই খাদ্য তালিকার সকল খাদ্য
দ্বারা শরীরের প্রতিদিনের পুষ্টি বজায় রাখবে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
খাবারের সময় | উপাদান | পরিমাণ | ক্যালোরি |
---|---|---|---|
সকালের নাস্তা | গ্রিন টি বা ব্ল্যাক কফি | ১ কাপ | ০-৫ |
ওটমিল (দুধ বা পানি সহ) | ১ বাটি | ১৫০-২০০ | |
আপেল বা কলা | ১ টি | ৮০-১০০ | |
ডিম সেদ্ধ | ১-২ টি | ৭০-১৪০ | |
সকালের স্নাক্সস | বাদাম আখরোট খাজুর | ৮-১২টি | ১০০-১৫০ |
দুপুরের খাবারে | লাল চালের ভাত / বাদাম | ১ কাপ | ১৮০-২০০ |
সালাত কাঁচা সবজি | ১ বাটি | ৫০ | |
ডাল | ১/২ কাপ | ৭০-৮০ | |
গ্রিলড মাছ (মুরগির বুকের মাংস) | ১০০ গ্রাম | ১৫০ | |
বিকালের স্ন্যাকস | চিনি ছাড়া ফলের রস | ১ গ্লাস | ৬০-৮০ |
চিয়া সিড পুডিং পানি সহ | ১ কাপ | ১০০-১২০ | |
রাতের খাবার | গ্রিলড মাছ | ১০০ গ্রাম | ১০০-১৫০ |
ব্রকলি গাজর ক্যাপসিকাম | ১ কাপ | ৫০ | |
সবজি সুপ বা চিকেন সুপ | ১ বাটি | ১০০-১৫০ | |
ঘুমানোর আগে | গ্রিন টি বা হারবালটি | ১ কাপ | ০-৫ |
১৫ দিনে ১০ কেজি ওজন কমানোর সহজ উপায় সম্পর্কে জানতে আপনি এই খাদ্য তালিকাটি
পরিপূর্ণভাবে যদি মেনে চলতে পারেন এবং রেগুলার ব্যায়াম করতে পারেন। তাহলে ১৫
থেকে ১০ দিনের মধ্যেই আপনার ওজন ১০ কেজিরও বেশি কমে যাবে।
ওজন কমানো নিয়ে আমাদের শেষ কথা
১৫ দিনে ১০ কেজি ওজন কমানোর সহজ উপায়গুলো সম্পর্কে আপনাদের মাঝে আলোচনা করেছি।
সকল বিষয় মেনে চলতে পারলে অবশ্যই ১৫ দিনে ১০ কেজি ওজন কমে আসবে তবে খেয়াল রাখতে
হবে ওজন কমাতে যেয়ে আপনার শরীর যদি দুর্বল হয়ে যায়। এবং আপনি যদি অসুস্থ হয়ে
যান তাহলে আপনাকে এই পন্থাগুলো অবলম্বন করা থেকে দূরে থাকতে হব। এর পরেও যদি
আপনার ওজন না কমে সেক্ষেত্রে আপনি একটি অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে
পারেন।
যে বিষয়গুলো নিয়ে আপনাদের মাঝে আলোচনা করেছি সকল বিষয়ে সত্যি এবং পরীক্ষিত। এই
সব বিষয় গুলো আপনি পালন করার মাধ্যমে আপনার কোন সাইড ইফেক্ট হবে না। আমাদের
আলোচনার বিষয়গুলো শুধু যে ওজন কমিয়ে নিয়ে আসবে এমনটা না। আপনার শরীরের আরও
অনেক উপকারে আসবে। আমাদের আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে এবং যদি কোন
অংশে ভুল ধরতে পারেন তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন ন। এতক্ষণ ধরে সাথে
থাকার জন্য সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা ধন্যবাদ।
Active24 আইটিতে নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।;
comment url