তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায়

তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায় সম্পর্কে জানব। তৈলাক্ত ত্বক থেকে এবং সাধারণ ত্বক থেকে ব্রণ কিভাবে দূর করব এই সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। তাই যে কোন ত্বকের জন্য সবচেয়ে ভালো উপায় গুলো আজকে আপনাদের সামনে তুলে ধরব।
তৈলাক্ত-ত্বকের-ব্রণ-দূর-করার-উপায়
যেই উপায় গুলো ১০০% কার্যকারী এবং কোন সাইড ইফেক্ট ছাড়াই আপনি চাইলে ঘরোয়া ভাবে নিজেও বানিয়ে নিতে পারেন। এই সকল বিষয় নিয়ে আজকে এই আর্টিকেলের মধ্যে আলোচনা করব। 

পেজ সূচিপত্রঃ তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত

তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায়

তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায় সম্পর্কে জানতে গেলে অবশ্যই আমাদের আগে জানতে হবে মানুষের ত্বক কয় ধরনের হতে পারে এবং কি কি হতে পারে। যাদের তৈলাক্ত ত্বক তাদেরকে অবশ্যই দিনে দুই থেকে তিনবার ভালো একটা ফেসওয়াশ দিয়ে মুখটা ওয়াশ করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ
ত্বক সম্পর্কে জানতে গেলে প্রথমে আমাদের ত্বকের ধরন গুলো জেনে নেওয়া দরকার। আসুন এক নজরে দেখে নিই ত্বকের কয়টি ধরন। সাধারণত তিন ধরনের ত্বক হয়ে থাকে প্রতিটি ত্বকের বিশেষত্ব ভিন্ন ভিন্ন রয়েছে।
 
তৈলাক্ত ত্বকঃ তৈলাক্ত ত্বক সাধারণত এমন হয়ে থাকে। মুখে কোন ক্রিম বা তেল ব্যবহার না করলেও মুখ দিয়ে এমনভাবে তেলের মত কিছু পদার্থ বেরিয়ে আসে দেখে মনে হয় তেল কিংবা ক্রিম ব্যবহার করা হয়েছে। 

মিশ্র ত্বকঃ  মিশ্রণ তখন হল নাক থেকে ঠোঁটের ওপর পর্যন্ত যাকে ডাক্তারি ভাষায় বলা হয় টিজন শুধু এতোটুকু তই লাগতে হবে বাকিগুলো নরমাল থাকে। 

শুষ্ক ত্বকঃ শুষ্ক ত্বক হল যেই সব ত্বক দিয়ে কখনো তেল বের হয় না কিংবা তেলতেলে ভাব আসে না সব সময় শুকনা ভাব হয়ে থাকে। 

তৈলাক্ত ত্বকে যেহেতু সব সময় তেলের মতো পদার্থ মুখে ঝরতে থাকে। তাই তৈলাক্ত ত্বকের কেয়ার একটু বেশি করতে হয়।যাদের তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ নিয়ে সমস্যা, তারা অবশ্যই ভাজাপোড়া কিংবা কোল্ড্রিংস এ ধরনের জিনিস থেকে দূরে থাকবেন। কারন এইসব জিনিসের কারণে আপনাদের শরীর থেকে শিবাশিয়াস গ্লাণ্ড তৈরি হয় এবং এই শিবাশিয়াস গ্ল্যান্ডের কারণে ত্বক তৈলাক্ত হয়ে থাকে। 

বরফ দিয়ে ব্রণ দূর করার ঘরোয়া উপায় 

বরফ দিয়ে ব্রণ দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানব। আপনি ব্রণ দূর করার আগে অবশ্যই আমাদের ওপরের কিছু অংশ পড়ে আসতে পারেন। তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার ত্বক আসলে কোন ধরনের। তিনটি ধরন উল্লেখ করা আছে আপনি উপরের কিছু অংশ পড়লেই বুঝতে পারবেন আপনার ত্বকের ধরন কি। 

বরফ ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনার ব্রণ কখনো দূর হতে পারে না। কারণ ব্রণ হয়ে থাকে শারীরিক অনেক সমস্যার কারণে কিংবা অনেক ভিটামিনের কারণে। তাই আপনার মুখে যখন পুরোপুরি ব্রণ বের হয়ে যাবে এবং ব্রনের সাইডে কালো দাগ আসবে ব্যথা করবে তখন যদি বরফ ব্যবহার করতে পারেন নিয়মিত তাহলে এই সব থেকে অনেক টা আরাম পাবেন। 

আপনার ত্বকের ধরন যেমনই হোক না কেন আপনি যদি নিয়মিত বরফ ব্যবহার করতে পারেন।  তাহলে শিবাসিয়াম গ্রন্থ থেকে শিবাম নিঃসরণ করতে সাহায্য করে। যেটি হল আমাদের ত্বকে ব্রণের প্রধান কারণ তাই রেগুলার বরফ ব্যবহার করার ফলে আপনার সিবাসিয়াম গ্রন্থ কমে যাবে এবং ব্রণ বের হবে না। 

তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার ক্রিম

তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার ক্রিম বা ফেসওয়াশ নিয়ে আলোচনা করব। ফেসওয়াশ মার্কেটে বিভিন্ন ধরনের আছে কিন্তু কোন ফেসওয়াস আপনি ইউজ করে সুফল পাবেন এই সম্পর্কে হয়তো আপনি জানেন না তাই আপনাদেরকে এই সম্পর্কে সঠিক একটি ধারণা দিতে চলেছি।

ফেসওয়াশ কেনার সময় অবশ্যই ফেসওয়াশের উপাদান গুলো একবার দেখে নিবেন। মার্কেটে অনেক ধরনের ভালো ভালো ফেসওয়াশ রয়েছে কিন্তু প্রত্যেকটি ফেসওয়াশ কিনার আগে অবশ্যই চেক করে নিবেন। সেই ফেসওয়াশের মধ্যে কি কি উপাদান রয়েছে কোন কোন উপাদান থাকলে ফেসওয়াশটি ভালো।
আরো পড়ুনঃ
একটি ভালো ফেসওয়াশের মধ্যে অবশ্যই ভিটামিন ই , লেক্টিক এসিড , হাইয়ালুরনিক এসিড, সেরামাইন্ড, ল্যানোলিন, ও প্রাকৃতিক তেল সমৃদ্ধ, এলোভেরা, দুধ, মধু, জোজবা ওয়েল, স্ট্রবেরি, এই সকল উপাদান যদি কোন ফেসওয়াস এর মধ্যে দেখেন। তাহলে বুঝে নেবেন এটা অবশ্যই ভালো ফেসওয়াশ। 

তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণের দাগ দূর করার উপায়

তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণের দাগ দূর করা সম্পর্কে জানব ব্রণ হয় মাঝেমধ্যে কিন্তু ব্রণের দাগটা থেকেই যায়। এরকম সমস্যায় অনেকজন ভুগছেন এই ধরনের সমস্যাগুলো সাধারণত হয়ে থাকে ব্রণ হলে ব্রণকে হাত দিয়ে নাড়াচাড়া কিংবা ব্রোনস্টিক দিয়ে খোঁচানোর কারণে। ব্রণের সাথে এইভাবে খোঁচাখুঁচি করার জন্য এই দাগগুলো হয়ে থাকে ব্রণ হলে অবশ্যই চেষ্টা করবেন নাড়াচাড়া না করার। 

ত্বকের ব্রণ এর দাগ দূর করতে সবাই চায় তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করা সম্পর্কে জানতে চাইলে এর মধ্যে অবশ্যই ত্বকের ব্রণের দাগ দূর করার কথাও চলে আসে। কিভাবে আপনি ব্রণের দাগ দূর করবেন ব্রণের যে কালচে দাগ থাকে সে দাগটা অবশ্যই মুখে থাকলে। মানুষের সামনে যেতে খুব লজ্জা বোধ হয় ত্বকের উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়ে যায় এই সকল সমস্যার সমাধান পেতে হলে নিচের প্যারাটি পড়ে দেখুন।
তৈলাক্ত-ত্বকের-ব্রণের-দাগ-দূর-করার-উপায়
কালচে দাগ দূর করতে মধু অতুলনীয় এছাড়া ব্রণের দাগ ও ব্রণের জীবাণু ধ্বংস করতে মধু বেশ কার্যকর। মুখের কালো দাগ ধ্বংস করতে মধু অবশ্যই অনেক কার্যকারী একটি উপাদান। আসুন জেনে নেওয়া যাক মধু এবং লেবুর রস কিভাবে মুখে ব্যবহার করলে মুখের কালচে দাগ উঠে যায়। মধু এবং লেবুর রস মিশ্রণ করে আপনি নিয়মিত প্রতিদিন ২ থেকে ১ বার মুখে লাগিয়ে ভালো মতো মেসেজ করে বিশ মিনিট লাগিয়ে রাখুন এরপরে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। 

মধু, লেবু্‌ টক দই, টমেটো, শসা, এসব এমন এক ধরনের উপকারী জিনিস যা ব্যবহার করে আপনি আপনার তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায় পেতে পারেন। খুব কম সময়ে উজ্জ্বলতা পেতে টক দই মধু এবং লেবুর রস একসঙ্গে মিশ্রণ করে মুখে ২০ মিনিট মতো লাগিয়ে রেখে তারপরে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন খুব কম সময় দেখবেন মুখে উজ্জ্বলতা ফিরে এসেছে। 

তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার ঘরোয়া উপায়

তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানলে আপনি অবাক হবেন। সবাই মনে করে ব্রণ হলেই শুধু এই ক্রিম এই ফেসওয়াশ ব্যবহার করে বন্দর করা যায় কিন্তু ঘরোয়া অনেক উপায় রয়েছে যা কিনা আপনি ব্যবহার করে খুব কম সময়ে ভালো একটি রেজাল্ট পেতে পারেন তাহলে জেনে নেওয়া যাক ঘরোয়া উপায় গুলো সম্পর্কে।

ঘরোয়া উপায়ের মধ্যে একটি উপায় হল আপনার বাড়িতে যদি অ্যাসপিরিন ট্যাবলেট থাকে। তাহলে অ্যাসপিরিন ট্যাবলেট গুড়া করে পেস্ট তৈরি করে ব্রণে লাগিয়ে রাখুন সারারাত। তাহলে ব্রণের লালচে ভাব কেটে যাবে এক রাতের মধ্যেই। 

ব্রণের দাগ দূর করতে টুথপেস্ট অনেক উপকারী এটিও আপনাদের একটি ঘরোয়া উপাদান। টুথপেস্ট ও ব্রণ সারাতে কাজ করে ব্রণে এটি লাগালে ফোলা ভাব কমে যায় কয়েক ঘন্টাতেই তবে জেল টুথপেস্ট ব্যবহার করবেন না এতে ক্ষতি হতে পারে।তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায় এবং শুষ্ক আরো অন্যান্য যে কোন ত্বকের ব্রণ দূর করতে এই উপাদানগুলো সাহায্য করে। 

ব্রণ ভালো রাখতে অবশ্যই খাবার কন্ট্রোল করে খেতে হবে। এর পাশাপাশি ব্রণ হলে তেল মসলা ও ভাজাপোড়া খাবার এড়িয়ে চলতে হবে এবং বেশি বেশি গরম পানি খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে তাহলে শরীরের ব্যাকটেরিয়া গুলো বের হয়ে যাবে। 

ছেলেদের তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায়

ছেলেদের তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায় সম্পর্কে জানুন। ব্রণ ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের হয়ে থাকে কিন্তু মেয়েদের ক্ষেত্রে ভিন্ন ছেলেদের ক্ষেত্রে ভিন্ন কারণ। ছেলেরা দিনের বেলায় মাঠে-ঘাটে অনেক কাজ কর্মে লিপ্ত থাকে যার কারণে ধুলোবালি ছেলেদের ত্বকে একটু বেশি পড়ে থাকে।
আরো পড়ুনঃ
ব্রণ এমন একটি সমস্যা যেটা ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে। ত্বকের সব থেকে যন্ত্রণাদায়ক  সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ব্রণ। মুখের মধ্যে যে কোন সময় হাত দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে কারণ হাতে বিভিন্ন সময় কাজকর্মে থাকার কারণে ময়লা আবর্জনা লেগে থাকে। এই ময়লা আবর্জনা ত্বকের রোমকূপে আটকে যায়। যার কারণে ব্রণ বের হয় সবচেয়ে ভালো হয় হাত  জীবাণুমুক্ত বা জীবনাশক দিয়ে পরিষ্কার রাখলে তাহলে হলে ব্রণের আশঙ্কা অনেকটাই কমে যাবে।

ত্বক কে ব্রোন মুক্ত এবং ভালো রাখতে হলে অবশ্যই রেগুলার ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে হবে। নিয়মিত ত্বকের যত্ন নিতে হবে যাদের তাকে ব্রণ আছে তারা মুখ ধোয়ার পর অবশ্যই তোয়ালে বা কোন কাপড় ব্যবহার না করে টিস্যু পেপার ব্যবহার করলে ভালো হয়।

মুখের তেলতেলে ভাব দূর করার টিপস 

মুখের তেলতেলে ভাব দূর করার টিপস সম্পর্কে বিস্তারিত। তেলতেলে ত্বকের সমস্যা অনেকেরই দেখা দেয় এমন ত্বক বিরক্তির কারণ হয়ে ওঠে। তবে তৈলাক্ত ত্বক মুখের বল ও রেখা রং পরিবর্তন হওয়া থেকে সুরক্ষা দিয়ে থাকে।ত্বক তেলতেলে থাকলে তাতে সহজে ধুলোবালি আটকে যায়। যার ফলে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হয়ে ব্রণ হওয়া সম্ভাবনা বেড়ে যায় তাই এমন হলে নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার রাখার বিকল্প নেই। 

দিনে অন্তত দুইবার ভালো মানের ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। যাদের তৈলাক্ত ত্বক তারা সচরাচর ক্রিম ব্যবহার করতে চান না। তেলতেলে ভাবের জন্য কিন্তু আপনি যদি আপনার ত্বকে ময়শ্চারাইজ না করেন। তাহলে আপনার ত্বক অতিরিক্ত তেল বের করে তাই যখনই আপনি মুখ ধুবেন তখনই আপনাকে শুট করে এমন ক্রিম এপ্লাই করে নিন। 

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য সবচেয়ে ভালো বেবি ক্রিম। বাড়িতে খুব সাধারণভাবে নেওয়া যেতে পারে তেলতেলে ত্বকের যত্ন। তেলতেলে দূর করার জন্য কিছু টিপস ও ফেসপ্যাক শেয়ার করছি আপনি নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন।

নিয়মিত শসার রস দিয়ে মুখ পরিষ্কার করলে ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর হয়ে যায়। গোলাপ জল ও লেবুর রস আধাঘন্টা মুখে লাগিয়ে রেখে আলতোভাবে তুলো দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে হবে। এতে ত্বক পরিষ্কারসহ ব্রণ এবং ফুসরির দাগ থাকলে সেটিও চলে যাবে। 

তৈলাক্ত ত্বক ফর্সা ও উজ্জ্বল করার উপায়

তৈলাক্ত ত্বক ফর্সা ও উজ্জ্বল করার উপায় নিয়ে অনেক জন অনেক ভাবে চিন্তিত। আসলেই কি এর কোন সঠিক সমাধান আছে কিনা এই বিষয়ে জানতে হলে পড়তে থাকুন। এই সমস্যার মুখে নারী-পুরুষ সকলেই কিন্তু পরে যতই আপনি ক্রিম বা ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন না কেন কোনোটাতেই কিন্তু অনেক সময় কাজ হয়ে ওঠে না।
আরো পড়ুনঃ
ত্বক যতই তৈলাক্ত হবে ততই বাড়বে তার কালচে ভাব এবং এর ফলে কি হয় আপনি বাইরে বের হলে অনেক সময় আপনার মুখের যে উজ্জ্বলতা সেটা অনেকটা চাপা পড়ে যায়। যারা বারবার মুখ ধুয়ে থাকেন তারা ভাবেন তেল দূর হয়ে যাবে কিন্তু এটা একদমই সত্য নয়। এতে বরঞ্চ আরও বেশি ত্বক তৈলাক্ত হয়ে যায় আবার বারবার মুখ ধোয়ার ফলে কিন্তু ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। 
তৈলাক্ত-ত্বক-ফর্সা-ও-উজ্জ্বল-করার-উপায়
তৈলাক তো ত্বক হওয়ার কারণে ত্বকের উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়ে যায় এবং মুখে ব্রণের দেখা দেয়। কলা তৈলাক্ত ত্বকের জন্য একটি অত্যন্ত কার্যকর উপাদান এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা আর কোমলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আর লেবুতে আছে সাইট্রিক এসিড যা ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করে এর সঙ্গে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে। 

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ঘরোয়া ভাবে ফেসপ্যাক তৈরি

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ঘরোয়া ভাবে ফেসপ্যাক তৈরি করতে আমরা হয়তো অনেক জনই জানিনা। তাই আজকে কিভাবে আপনারা ঘরে বসে কিছু ঘরোয়া উপাদান দিয়ে তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ফেসপ্যাক তৈরি করবেন এই বিষয়ে আলোচনা করব। 

প্রাকৃতিক ফেসওয়াস তৈরির জন্য একটি পাকা কলা দুই চামচ পাতি লেবুর রস এবং এক চামচ মধু। এই তিনটি উপকরণ হলেই চলবে কিভাবে বানাবেন। প্রথমে কলার খোশা ছাড়িয়ে নিয়ে ভালো করে কলাটাকে ব্লেন্ড করে নিতে হবে তারপরে লেবুর রস এবং মধু একসঙ্গে মিশিয়ে ফেলতে হবে।

পাকাকলা পাতি লেবুর রস আর মধু দিয়ে এই পেস্ট টি হাতে মুখে গলায় ভালো করে মেখে নিয়ে মিনিট ১৫ ছেড়ে দিন। মিনিট ১৫ পরে মুখ ভালো করে ধুয়ে একটি নরম তোয়ালে দিয়ে চেপে চেপে মুছে নিন। দু-তিন বার এই প্যাক ব্যবহার করে দেখুন খুব ভালো ফল পাবেন। 

আমাদের শেষ কথা আপনাদের উদ্দেশ্যে

আমাদের শেষ কথা আপনাদের উদ্দেশ্যে একটাই থাকবে ত্বক ভালো রাখতে হলে অবশ্যই ত্বকের যত্ন নিতে হবে নিয়মিত। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বিভিন্ন সমস্যা আমরা এই পোস্ট এর মধ্যে তুলে ধরেছি এবং তৈলাক্ত ত্বকের বিভিন্ন সমাধানও আমরা তুলে ধরেছি। আশা করি সকল তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যা এবং তৈলাক্ত ত্বকে কোন ফেসওয়াশ সবচেয়ে ভালো এই ধরনের সমস্যা সমাধান পেয়ে গেছেন। 

তৈলাক্ত ত্বক বিষয়ে আপনাদের সামনে তুলে ধরার মাধ্যমে আমার মনে হয়। কলা লেবু এবং মধুর মিশ্রণ তৈরি করে যেই ফেস প্যাকটি বানিয়ে আপনাদের বুঝিয়ে দিয়েছি। এইটা সবথেকে আপনাদের তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কার্যকারী হবে যার কোন সাইড ইফেক্ট নাই। আপনারা চাইলে এটা নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন। পোস্ট বিষয়ে কিংবা তৈলাক্ত ত্বক বিষয়ে যদি আপনাদের কোন মতামত থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট বক্সে লিখে যাবেন আপনাদের কমেন্টের আশায় থাকলাম ধন্যবাদ। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Active24 আইটিতে নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।;

comment url