গ্যাসের সমস্যা দূর করার ঘরোয়া উপায়
গ্যাসের সমস্যা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে হয়তো আমরা অনেকেই জানিনা।
আমরা মনে করি গ্যাস হলে শুধু গ্যাসের ওষুধ খেতে হয় তাহলেই গ্যাস ভালো হয়।
কিন্তু গ্যাসের ঔষধ ছাড়াও ঘরোয়া অনেক উপায় রয়েছে যার মাধ্যমে আপনার
গ্যাস ভালো হয়ে যেতে পারে।
বর্তমান সময়ে প্রতিটি পরিবারে বৃদ্ধ মা-বাবা থাকে এবং তাদের প্রতিনিয়ত
গ্যাসের ওষুধ খেতে হয়। কিন্তু এখন এই সময় দাঁড়িয়ে গ্যাসের ওষুধেরও দাম কিন্তু
কম না। আবার ওষুধ খেলে যতটুকু লাভ হয় তার থেকে বেশি ক্ষতি হয় যেটা আমরা বুঝতে
পারি না।
পেজ সূচিপত্রঃ গ্যাসের সমস্যা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত
- গ্যাসের সমস্যা দূর করার ঘরোয়া উপায়
- গরম পানি খাওয়ার মাধ্যমে গ্যাস ভালো করার উপায়
- গ্যাস ভালো করতে আদা ও মধুর উপকারিতা
- জিরা ও লবণ দিয়ে গ্যাসের সমস্যা দূর করার উপায়
- গ্যাসের সমস্যায় পুদিনা পাতার উপকারিতা
- গ্যাস কেন হয় এবং গ্যাস হলে দ্রুত ভালো হয় কি খেলে
- দারুচিনি চা খেয়ে গ্যাস ভালো করার উপায়
- মেথি বীজ খেয়ে গ্যাস ভালো করার সঠিক নিয়ম
- লেবুর রস গ্যাসের জন্য উপকার নাকি অপকার
- গ্যাসের সমস্যা দূর করা নিয়ে আমাদের শেষ কথা
গ্যাসের সমস্যা দূর করার ঘরোয়া উপায়
গ্যাসের সমস্যা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই আমাদেরকে আগে
জানতে হবে কেন এই সমস্যাটা হয়। আসলে যে কোন সমস্যার সমাধান করতে গেলে আগে জানতে
হয় যে সমস্যাটার উৎপত্তি কোথায় থেকে। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক গ্যাসের
সমস্যা কেন হয় এবং কোন খাবার গুলোর মাধ্যমে গ্যাসের সমস্যা বেশি হয়।
আমরা যখন যেই কোন খাবার খাই তখন সেই খাবারটা পাকস্থলীতে যাই এবং পাকস্থলী কিছু
অ্যাসিড এবং আরো কিছু জিনিস তৈরি করে খাবার হজম করার জন্য। অ্যাসিড আর
খাবার দুটোই পাকস্থলীর দিক থেকে আস্তে আস্তে নিচের দিকে নামতে থাকে। কিন্তু
যখন এসিড নিচের দিকে না নেমে এসিডটি গলার দিকে মানে মুখের দিকে বেরিয়ে আসার
চেষ্টা করে তখনই আমরা বুকে জ্বালাপোড়া বুঝতে পারি।
আরো পড়ুনঃ
কখনো কখনো এমনিতে এ সমস্যা হতে পারে যে কারো আবার কিছু কিছু খাবারের মাধ্যমে ও এই
সমস্যা হতে পারে। তবে যারা ধূমপান করেন তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি দেখা
যেতে পারে। এবং যারা অনেক টেনশন করেন তাদের ক্ষেত্রেও দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে
যারা মোটা কিংবা শরীরের ওজন অনেক বেশি তাদের এই সমস্যাটা অনেক বেশি দেখা
দেয়। তবে কিছু চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসার কারণে কিছু মেডিসিনের দ্বারাও
এই ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। তাই এই ধরনের সমস্যা যদি কোন মেডিসিন নেওয়ার
পরে হয়ে থাকে তাহলে আপনি যত দ্রুত সম্ভব সেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন
হবেন।
গরম পানি খাওয়ার মাধ্যমে গ্যাস ভালো করার উপায়
গরম পানি খাওয়ার মাধ্যমে গ্যাস ভালো করার উপায় সম্পর্কে আপনারা হয়তো অনেকেই
জানেন না। সকালে খালি পেটে গরম পানি খাওয়ার ফলে আপনার পেটের গ্যাস অনেকটাই কমে
যেতে পারে। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে হালকা কুসুম গরম পানি খেতে পারেন এতে করে
আপনার পাকস্থলী অনেক ভালো থাকবে এবং পাকস্থলীর অভার অ্যাসিডকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে
সাহায্য করে।
গ্যাসের সমস্যা দূর করতে গরম পানি অনেক উপকারী আপনি যদি প্রতিদিন খাবারের আগে
হালকা কুসুম গরম পানি এবং খাবারের ৩০ মিনিট পরে গরম পানি পান করে থাকেন। তাহলে
আপনার খাবার হজমজনিত যদি কোন সমস্যা থাকে তাহলে সেই ধরনের সমস্যা খুব দ্রুতই সেরে
যাবে। আপনি যখন বুঝতে পারবেন আপনার অতিরিক্ত গ্যাস করছে বা গলা দিয়ে শিস উঠে
জ্বালাপোড়া করে ওই সময় হালকা কুসুম গরম পানি এবং কয়েক চিমটি লবণ দিয়ে আস্তে
আস্তে খেতে থাকুন দেখবেন খুব কম সময়ে শান্তি অনুভব করতে পারছেন।
গ্যাসের সমস্যা দূর করার ঘরোয়া উপায় এর মধ্যে গরম পানি খাওয়াও একটি উপায় কারণ
গরম পানি আপনাকে কিনে খেতে হয় না। তাই এইটাও একটা ঘরোয়া উপায় আপনি যদি রাতে
ঘুমানোর আগে গরম পানি পান করে ঘুমিয়ে যান। তাহলে সারা রাতে আপনার মধ্যে গ্যাস
সৃষ্টি হবে না এবং সকালে উঠে ব্রাশ না করে যদি হালকা গরম পানি খান তাহলে মুখের
লালা আপনার পেটের মধ্যে যাবে এবং গ্যাস দূর করবে।
গ্যাস ভালো করতে আদা ও মধুর উপকারিতা
গ্যাস ভালো করতে আদাও মধুর উপকারিতা সম্পর্কে জানুন। গ্যাসের সমস্যা থেকে
বাঁচতে হলে অবশ্যই আপনাকে খাবার কিছু নিয়ম মানতে হবে যেমন। তিন বেলা পেট অনেক
ভরে খাবার খাওয়া যাবেনা যাদের গ্যাস্টিক সমস্যা আছে। বিশেষ করে তাদের দেখা যায়
অধিকাংশ মানুষেরই পেট ভরে ভরে খাওয়ার কারণে গ্যাসের সমস্যা বেড়ে যায। তাই সব
সময় চেষ্টা পেটের কিছু অংশ ফাঁকা রেখে খাওয়ার।
আরো পড়ুনঃ
গ্যাস ভালো করতে আদাও মধু অনেক উপকারী একটি ঘরোয়া উপায়। মধু ও আদা
প্রতিদিন নিয়ম মত খেতে পারলে আপনার গ্যাসের সমস্যা অনেকটা কমে যাবে। মানে আপনাকে
গ্যাসের ঔষধ খেতে আর হবে না এই ঘরোয়া উপায় গুলো মেনে চলার মাধ্যমে। আদা ও
মধু একসঙ্গে খাওয়ার ফলে আপনার পেটের গ্যাস্টিকের সমস্যা দূর করে কারণ আধ হাতে
এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা আপনার হজম শক্তিতে বাড়িয়ে তুলতে পারে।
আদা খাওয়ার নিয়ম আধা কে টুকরো টুকরো করে কেটে হালকা করে ব্লেন্ড করে নিতে পারেন
তাহলে হজম হতে সমস্যা হবে না। আদাকে টুকরো করে কেটে পিষে কিংবা ব্লেন্ড করে মধুর
সাথে মিশিয়ে খাবেন তাহলে আপনার পাকস্থলীর অ্যাসিড কে অনেকটা কমিয়ে দেবে। আদাতে
শুধু গ্যাসের জন্যই কাজ করে এমনটা না আপনার শরীরের আরও অনেক উপকারে আসে আদা এবং
মধু তাই এই খাবারটা নির্ভয়ে খেতে পারেন।
জিরা ও লবণ দিয়ে গ্যাসের সমস্যা দূর করার উপায়
জিরা ও লবণ দিয়ে গ্যাসের সমস্যা দূর করার উপায় সম্পর্কে জেনে নেওয়া
যাক। আমরা আজকে যেহেতু মেন আলোচনা করতে চলেছি গ্যাসের সমস্যা দূর করার
ঘরোয়া উপায় নিয়ে। তাই গ্যাসের সমস্যা দূর করতে ঘরোয়া উভয়ের মধ্যে জিরা ও লবণ
পানি একটি অনেক উপকারী ঘরোয়া উপায়। এই উপকরণটি কখন কিভাবে খাব এইটা হয়তো আমরা
অনেকেই জানিনা আসুন জেনে নেওয়া যাক কোন সময় এই উপকরণটি সেবন করলে ভালো উপকারে
আসবে।
জিরা ও লবণ পানি এটা একটি প্রাকৃতিক উপাদান এটা খাওয়ার ফলে প্রাকৃতিকভাবে
গ্যাসের সমস্যা এবং বদহজম থাকলে ভালো হয়ে যায়। জিরা কে ভালোভাবে ভেজে নিয়ে
এক কাপ গরম পানি নিন এবং ওই গরম পানিতে ১৫ থেকে ২০ মিনিট ওই জিরা গুলো ভিজিয়ে
রাখুন। ২০ মিনিট পর জিরা গুলোকে চা ছাকনি বা পাতলা কাপড় দিয়ে সেকে নিন তারপরে
সেই পানিতে হালকা লবণ মিশিয়ে পান করুন। এতে করে গ্যাসের সমস্যা এবং অম্বলের
সমস্যা থাকলে তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যাবে।
জিরা ও লবণ মিশ্রিত পানি আসলে কি ধরনের কাজ করো এটা আসলে স্পাইসি
হিসেবে কাজ করে। এটা আসলে আমাদের বডিতে ডাইজেশন পাওয়ার টাকে বেশি করতে সাহায্য
করে। তাই ডাইডেশন পাওয়ারটা বা হজম শক্তিটা যদি আপনার ভালো থাকে তাহলে
কিন্তু আপনার দিনের শুরুটাই ভালো যাবে। এবং গ্যাসের সমস্যা আপনার শরীরে যদিও থেকে
থাকে সেই তুলনায় একটু কম দেখা যাবে। তবে অনেক আগ থেকে যদি গ্যাসের সমস্যা
থাকে তাহলে একটি ভালো ডাক্তার দেখিয়ে পরামর্শ নেয়াটাই ভালো হবে।
গ্যাসের সমস্যায় পুদিনা পাতার উপকারিতা
গ্যাসের সমস্যাই পুদিনা পাতার উপকারিতা রয়েছে অনেক এই সম্পর্কে হয়তো আমরা
অনেকেই জানিনা। পুদিনা পাতা অনেকভাবে সেবন করার মাধ্যমে আপনার গ্যাসের
সমস্যা এবং বদহজমের সমস্যা দূর হয়ে যাবে। তবে পুদিনা পাতা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে
হবে কিন্তু মনে রাখবেন প্রতিটি জিনিসই অধিক ব্যবহারে ভালোর থেকে খারাপ হতে পারে।
তাই পরিমিত পরিমাণ ব্যবহারের চেষ্টা করবেন।
আরো পড়ুনঃ
পুদিনা পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে মেন্থল এটা পাকস্থলীতে থাকা অতিরিক্ত
গ্যাসকে কমিয়ে দিতে সাহায্য করে। এবং হজম জনিত সমস্যা দূর করতে সহায়ক হিসেবে
কাজ করে। পুদিনা পাতার রস দিয়ে চা বানিয়ে খাওয়া যায়। পুদিনা পাতা
কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখার পরে সেই পানিটাকে ছেঁকে ফেলে বা তাকে হালকা করে ব্লেন্ড
করে হালকা গরম পানির মধ্যে দিয়ে চা বানিয়ে খেতে পারেন এটা খুবই
উপকারী।
পুদিনা পাতায় প্রাকৃতিকভাবে রয়েছে মেন্থল যা পেট ব্যথার মত সমস্যাকে অতি শীঘ্রই
দূর করতে পারে এবং পেটের শিরা গুলোকে শীতল রাখতে সহায়ক। তাই নিয়মিত পুদিনা
পাতার রস ব্যবহারে আপনার শরীরে গ্যাস এবং বদ ওজন অম্বল এ ধরনের সমস্যা গুলো থাকলে
অবশ্যই সেটা কমে যাবে। ব্যবহার করার পরেও যদি দেখেন আপনার এই সকল সমস্যা কমছে না।
সেই ক্ষেত্রে আপনি নিকটস্থ কোন ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।
গ্যাস কেন হয় এবং গ্যাস হলে দ্রুত ভালো হয় কি খেলে
গ্যাস কেন হয় এবং গ্যাস হলে দ্রুত ভালো হয় কি খেলে এটা জানা আমাদের সকলের
দরকার কারণ বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে প্রতিটি ঘরে ঘরে গ্যাসের
সমস্যা। সাধারণত গ্যাস মানুষের পাকস্থলী থেকে সৃষ্টি হয় পাকস্থলীতে যে এসিড
থাকে এসিডের মাত্রা যখন অতিরিক্ত হয়ে যায় তখন মানুষের শরীরে গ্যাসের সমস্যা
দেখা দেয়।
গ্যাসের সমস্যা অনেক কারণে হতে পারে যেমন সঠিক সময়ে খাবার না খেলে অতিরিক্ত
ভাজাপোড়া তেল মসলা এসব খাওয়ার কারণে। আরো অনেকগুলো কারণ আছে যার কারণে গ্যাসের
সমস্যা দেখা দিতে পারে। খাবার খাওয়ার সময় খাবার এবং এসিড একসাথে পাকস্থলী
থেকে নিচের দিকে নামতে থাকে। কিন্তু কোন কোন সময় পাকস্থলী থেকে এসিডের পরিমাণ
বেশি হয়ে গেলে এসিড এবং খাবার দুটোই উপর দেখে উঠে আসতে থাকে তখনই বুক ব্যথা করতে
দেখা যাই।
আরো পড়ুনঃ
দ্রুত গ্যাস ভালো করতে হলে অবশ্যই কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। ভালো
কোম্পানির কোন ঔষধ খাওয়ার পরে সর্বনিম্ন ১৫ মিনিট সময় লাগবে তারপর একটু কম
কম ভাব বোঝা যায়। কিন্তু ঘরোয়া উপায়ের মাধ্যমে আপনি কিছুক্ষণ পরেই বুঝতে
পারবেন আপনার গ্যাস আস্তে আস্তে কমতে থাকছে। ঘরোয়া উপায়ের মধ্যে হলো হালকা
কুসুম গরম পানির সাথে এক চিমটি লবণ দিয়ে অতিরিক্ত গ্যাস থাকলে আপনি এটা আস্তে
আস্তে খেতে থাকবেন। তাহলে আপনার পাকস্থলীর অতিরিক্ত এসিডকে খুব কম সময়ে ঠান্ডা
করতে পারবে এবং আপনি খুব তাড়াতাড়ি আরাম বুঝতে পারবেন।
দারুচিনি চা খেয়ে গ্যাস ভালো করার উপায়
দারুচিনি চা খেয়ে গ্যাস ভালো করার উপায় সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। দারুচিনি
পাকস্থলীর গ্যাস কমাতে সহায়ক এবং হজম শক্তি বাড়িয়ে তুলতে কার্যকর। তবে প্রতিটা
জিনিসের মত দারুচিনি চা খাওয়ারও কিছু নিয়ম রয়েছে। আপনি দারুচিনি চা খেলে ওই
সময় খাবেন যখন আপনার পেট ভরা থাকবে ভরা পেটে দারুচিনি চা খাওয়ার ফলে আপনার হজম
শক্তি বেড়ে যাবে এবং ওই খাবারটা পাকস্থলীতে যাওয়ার পরে গ্যাস সৃষ্টি করতে পারবে
না।
গ্যাসের সমস্যা দূর করার ঘরোয়া উপায় এর মধ্যে দারুচিনি চা খুবই ভালো একটি
উপকারী খাবার।দারুচিনি চা খেতে হলে আপনাকে প্রথমে এক চা চামচ দারুচিনি গুঁড়ো
নিতে হবে সেই গুড়ো দারুচিনি এক কাপ মত পানিতে মিশিয়ে পানিটা পাঁচ থেকে দশ মিনিট
মতো ফুটিয়ে নিতে হবে। তারপরে সেই দারচিনি গুড়ো গুলো ছেঁকে ফেলে দিতে হবে
সেকে ফেলার পরে ওই পানিতে কয়েক ফোটা লেবুর রস বা চিনি দিয়ে আস্তে আস্তে
খেতে হবে। এভাবে প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার খেতে পারেন।
খাবারের পরে বা ভরা পেটে এ ধরনের জিনিসগুলো সেবন করার ফলে পেটের বদহজম পেট ফাঁপা
এবং গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। তবে দারুচিনি চা অতিরিক্ত খাওয়া
থেকে দূরে থাকতে হবে। অতিরিক্ত খাবার ফলে গ্যাস ভালো হবে কিন্তু অন্য আরো
সমস্যা বৃদ্ধি পেতে পারে তাই অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না। এইভাবে সেবন করার পরেও যদি
আপনার গ্যাস না কমে তাহলে আপনি আপনার খাদ্য ভ্যাস পরিবর্তন করতে পারেন। এবং গ্যাস
ভালো করতে প্রচুর পরিমাণে পানি খাওয়ার তুলনা নেই।
মেথি বীজ খেয়ে গ্যাস ভালো করার সঠিক নিয়ম
মেথি বীজ খেয়ে গ্যাস ভালো করার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জানব। মেথি বীজ খাওয়ার
অনেক ধরনের উপায় রয়েছে যে কোন উপায়ে মেথিবিজ খেতে পারেন। মেথি বীজ খেলে হজম
শক্তি বাড়িয়ে দেয় এবং হজমজনিত কোন সমস্যা থাকলে সে সমস্যা দূর করতে সাহায্য
করে। পাকস্থলীতে থাকা অতিরিক্ত গ্যাসকে মেথিবীজ দমন করে রাখতে পারে এবং মেথি
বীজের আরো অনেক উপকার রয়েছে। শুধু গ্যাস ভালো হয় এমনটা না শারীরিক আরো অনেক
উপকার আছ। মেথি একটি প্রাকৃতিক উপাদান এটা সেবনের ফলে কোন সাইড ইফেক্ট হবে
না।
মেথি বীজ খাওয়ার নিয়ম প্রতিদিন রাতে খাবার পর ঘুমানোর আগে এক চা চামচ মেথি এক
কাপ সমপরিমাণ পানিতে দিয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন। সকালে উঠে মেথিগুলো ছেঁকে ফেলে কিংবা
মেথি থাকা অবস্থায় পানি গুলো খেয়ে ফেলেন এইভাবে কয়েকদিন খেতে থাকলে দেখবেন
আপনার শরীরের গ্যাস অনেক কমে যাবে।
মেথি বীজ খাওয়ার অনেকগুলো পদ্ধতি রয়েছে তার মধ্যে উপরে যে পদ্ধতি লেখা আছে
এইভাবেও খেতে পারেন। আবার যদি মনে করেন গরম পানি দিয়ে কিংবা চায়ের সাথে খাব
তাহলে এক কাপ গরম পানিতে এক চা চামচ সমপরিমাণ মেথি বিজ এক কাপ পানিতে দিয়ে ১৫
মিনিট পর্যন্ত রেখে দিন। ১৫ মিনিট পরে সেই মেথি বীজগুলো ছেঁকে ফেলে দিয়ে আপনি
চায়ের মতো করে খেতে পারেন। এইভাবে খাওয়া সবথেকে ভালো গরম পানির মধ্যে মেথির সকল
গুনাগুন বের হয়ে যায এই পদ্ধতিতে খেলে আপনার গ্যাস অনেক কমে
যাবে।
লেবুর রস গ্যাসের জন্য উপকার নাকি অপকার
লেবুর রস গ্যাসের জন্য উপকার নাকি অপকার এই সম্পর্কে হয়তো আমরা অনেকেই
জানিনা আমরা মনে করি লেবু খেলে কোন গ্যাস হয় না আবার কেউ মনে করে গ্যাসের জন্য
লেবু অনেক উপকারী। আজকে পোষ্টের মধ্যে জানতে পারবেন লেবু কি আসলেই গ্যাসের
জন্য উপকারী নাকি অপকারী। লেবুতে সাধারণত রয়েছে সাইট্রিক এসিড যা মানুষের
শরীরে হজম শক্তিকে বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।
লেবুর রসের উপকারিতা
লেবুর রস এ প্রচুর পরিমাণে রয়েছে সাইট্রিক অ্যাসিড। সাইট্রিক এসিড লেবুতে থাকার
ফলে হজম শক্তিকে আরো বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। লেবুতে আরো রয়েছে টক্সিন নামক
একটি উপাদান যা পেট ফাঁপা বদহজম এই ধরনের সমস্যাগুলো কিছু লেবুর রস খাওয়ার
মাধ্যমে সেরে যেতে পারে।
গ্যাসের মত সমস্যাই লেবুর প্রভাব
গ্যাসের পরিমাণ যদি হালকা হয় এবং সাথে যদি বদহজম থাকে তাহলে এক গ্লাস পানিতে এক
চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে ওই পানি পান করলে তাৎক্ষণিকভাবে বদহজম এবং গ্যাসের
সমস্যা দূর হয়ে যায়।কিন্তু গ্যাস্টিকের সাথে যদি অম্বলের সমস্যা থেকে থাকে
তাহলে লেবুর রস খাওয়াতে গ্যাসের সমস্যা আরো বৃদ্ধি পেতে পারে এবং পেট বুক
জ্বালাপোড়া সৃষ্টি হতে পারে। তাই সমস্যা বুঝে সঠিক উপকরণ খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
গ্যাসের সমস্যা দূর করা নিয়ে আমাদের শেষ কথা
গ্যাসের সমস্যা দূর করা নিয়ে আমাদের শেষ কথা হল গ্যাসের সমস্যা দূর করতে
হলে সবার আগে দরকার খাদ্য ভ্যাস পরিবর্তন করা। আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য
তালিকায় এমন কিছু খাবার থাকে যেসব গ্যাস জন্ম দেয় নতুন ভাবে। তাই সব সময় গ্যাস
জনিত খাবার ভাজাপোড়া থেকে দূরে থাকতে হবে মানুষের শরীরে গ্যাস থাকবে এটাই
স্বাভাবি। কিন্তু এই গ্যাসের মাত্রা যেন বেশি না হয়ে যায় এদিকে খেয়াল রাখতে
হবে। গ্যাসের সমস্যা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে উপরে যেসব আলোচনা করেছি এই
সকল আলোচনাগুলো আপনি মেনে চলতে পারলে। আপনার শরীরে গ্যাস থাকলেও তাৎক্ষণিক ভাবে
ঘরোয়া চিকিৎসা নিয়ে আপনি সুস্থ হয়ে যেতে পারবেন।
গ্যাস কমাতে অবশ্যই আপনাদের সঠিক খাদ্য তালিকা মেইনটেইন করতে হবে। এবং প্রতিদিনের
খাদ্য তালিকায় গ্যাস জনিত খাবার অল্প রাখতে হবে। আমাদের পোস্ট পড়ার মাধ্যমে
আপনি যদি একটু উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার মতামত কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন
না। মনে রাখবেন আপনাদের একটি কমেন্ট আমাদের পোস্ট লিখতে আরো উৎসাহিত করে। সকলের
সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি ধন্যবাদ।
Active24 আইটিতে নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।;
comment url